• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নেইমারের মুখে হাসি ফুটুক

ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমার

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

নেইমারের মুখে হাসি ফুটুক

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০১৮

নেইমার, বিশ্বকাপ ও ইনজুরি- যেন এক সুতায় গাঁথা। এর ওপর থাকে প্রবল চাপ। যে চাপ মাঝেমধ্যে উতরাতে পারেন, মাঝেমধ্যে কষ্ট হয়ে ঝরে পড়ে সবুজ গালিচায়।

নেইমারের প্রথম বিশ্বকাপের কথাই ধরুন। অভিষেক ২০১৪ বিশ্বকাপে, যা হয়েছিল নেইমারদের মাটিতে, মানে ব্রাজিলে। স্পটলাইট পুরোপুরি নেইমারের ওপর। চাপ সামলে ছান্দসিক ছিলেন ২২ বছরের এই তরুণ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ছন্দপতন। কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার জুনিগার আঘাত, স্ট্রেচারে করে নেইমারের মাঠ ছাড়া। পরের ইতিহাস সবার জানা। সেমিতে উঠলেও জার্মান-ট্র্যাজেডি এখনো পোড়ায় ব্রাজিলকে। শুধু নেইমার না থাকায় দলটি যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল, মারাকানোজোর পর জন্ম হয়েছিল মিনেইরোজো ট্র্যাজেডি।

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে আরো পরিণত নেইমার। বয়স এখন ২৬। এবার বিশ্বকাপের আগে ইনজুরিতে নেইমার। প্রায় মাস তিনেকের লড়াইয়ের পর মাঠে ফেরা। যদিও ফিটনেস আগের মতো নেই। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র। খুঁজে পাওয়া যায়নি নেইমারকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আশার বাতিটা জ্বলল টিমটিমে। তারপরও সেই নেইমারের দেখা নেই। শেষ মুহূর্তে গোল পেলেন নেইমার। দলও জিতল। ম্যাচ শেষে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন নেইমার। যে কান্না ছুঁয়ে গেল অনেকের মন। যদিও কথা উঠল- এখনই কেন কান্না, সামনে তো অনেক পথ। কিন্তু বুকের মধ্যে জমে থাকা কষ্ট লুকাতে পারেননি নেইমার। কণ্টকাকীর্ণ পথ আর দুঃসহ চাপের পরও একটি গোল নেইমারকে করেছে আবেগাপ্লুত। যে কান্না বিষাদের নয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

আজ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল খেলবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। যে ম্যাচে একটি পয়েন্ট পেলেই নকআউট পর্বে যাবে সেলেকাও শিবির। তবে হারলে বিপদ। এমন ম্যাচে অনুমিতভাবে সবার চোখ কিন্তু থাকছে নেইমারের দিকেই। যদিও আছেন কুতিনহো, জেসুস, ফিরমিনোরা। কিন্তু সব প্রত্যাশা তো নেইমারকে ঘিরেই। তার জাদুকরি কারিকুরিতেই স্বস্তি মেলে ভক্তদের। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতুক ব্রাজিল, ছন্দে ফিরুক নেইমার। কান্না নয়, নেইমারের মুখে ফুটুক হাসির ফোয়ারা, হোক সাম্বা উৎসব- ভক্তদের চাওয়াটা তো এমনই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads