• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ব্রাজিল : তিতে

ব্রাজিল দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কোচ তিতে

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ব্রাজিল : তিতে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ জুলাই ২০১৮

বলা হচ্ছে, রাশিয়ায় খেতাবের বড় দাবিদার ব্রাজিল। গত বুধবার সার্বিয়া ম্যাচের পর ফুটবলপণ্ডিতরা নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদেরই এগিয়ে রাখছেন। বিশেষ করে জার্মানি বিদায় নেওয়ায়। ব্রাজিলের কোচ তিতেও ব্যাপারটা আঁচ করছেন। সার্বিয়াকে ২-০ হারিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিল কোচ দাবি করেন, তাদের ফেভারিট ভাবাটা দলের কাছে মোটেই চাপের নয়। তিতের মন্তব্য, ‘সবাই বলছেন আমরা কাপ জিততে পারি। অনেকের কাছে এটা চাপ। কিন্তু আমাদের কাছে নয়। চাপ সামলানোর ক্ষমতা আমার ছেলেদের আছে।’

নিজের দলের প্রশংসা করে তিতে যোগ করেছেন, ‘আমাদের দলে ভারসাম্য রয়েছে। তাই যেকোনো জায়গায় বিকল্প খুঁজে নিতে সমস্যা হয় না। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দলের কাছে।’

ভারসাম্য প্রসঙ্গে মার্সেলোর উদাহরণ টেনেছেন তিতে। তার কথা, ‘শুরুতেই মার্সেলো চোট পেল। আর আমরা অবলীলায় ওর বদলি খেলোয়াড় নামিয়ে দিলাম।’ তিতে মনে করেন, বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের শক্তি ক্রমেই বাড়ছে। ‘জানি, আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। আমরা কিন্তু এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছি। প্রত্যাশা সৃষ্টি হওয়ার কারণও আছে। সবচেয়ে বড় কারণ যোগ্যতা অর্জন পর্বে আমাদের খুব ভালো খেলা। অবশ্য বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ের সঙ্গে তার তুলনা চলে না। এখানে অন্যরকম পরিবেশ। প্রতিযোগিতার কাঠামোও আলাদা’- বলেছেন তিতে।

এখন পর্যন্ত খেলা দলের তিনটি ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে বসে তার মন্তব্য, ‘তিনটি ম্যাচ খেলেছি আমরা। আমাদের দল এখন প্রায় সেরা জায়গায় পৌঁছে গেছে।’ তিতে মনে করেন তার এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রথম এগারো বেছে নেওয়া।’

তিতে জানিয়েছেন, সার্বিয়া ম্যাচেই লিভারপুলের রবের্তো ফিরমিনোকে বসিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফার্নান্দিনহোকে নামানোটা বেশ কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবু এই কাজটা তিনি করে যেতে চান। তিনি বলেছেন, ‘খুব বেশিদিন তো বিশ্বকাপ চলে না। তাই সব ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি মাথায় রাখি কাদের সঙ্গে খেলা। সেই অনুযায়ী দল বেছে ফেলি।’

মার্সেলোর চোট নিয়ে তিতের কথা, ‘মার্সেলোর সর্বশেষ অবস্থা আমি জানি না। শুধু জানি ওর পিঠে সমস্যা। মাঝেমধ্যে আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার মানে ওর পেশিতে টান ধরছে। এই অবস্থায় কাউকে খেলানো যায় না।’ এদিকে মার্সেলোর চোট নিয়ে ব্রিটিশ সংবামাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, হোটেলের বিছানায় শুয়েই তার এ রকম হয়েছে। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমারও তাই মনে করেন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৯ মিনিট রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার মাঠে ছিলেন। তারপরই পিঠে হঠাৎ ব্যথা শুরু হওয়ায় কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন।

এমনিতে মার্সেলো না থাকলেও তার অভাব বুঝতে দেননি থিয়াগো সিলভা। বার বার ওভারল্যাপে উঠে এসেছেন। এমনকি গোলও করেছেন। তিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ব্রাজিল দলের কোচ ছিলেন দুঙ্গা। তিনি কিন্তু থিয়াগোকে নিয়মিত খেলাতেন না। এটা নিয়ে তার মনে যে ক্ষোভ রয়েছে তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। ঘুরিয়ে হলেও বলে ফেললেন, ‘অনেকে হয়তো ভাবতেন আমি খেললে ব্রাজিল গোল খেয়ে যাবে। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা এখনো একটা মাত্র গোল খেয়েছি ভেবে গর্বই হচ্ছে। তিতে আমার ওপর আস্থা রাখছেন। কিন্তু অতীতে সবাই রাখেননি।’ সিলভা মনে করেন, রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণে উঠে গোল করাটা তার বাড়তি প্রাপ্তি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads