রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ২০১৮ ফুটবলের প্রাথমিক পর্ব ভালোভাবেই পার করেছে ইংল্যান্ড। আজ নকআউট পর্বে ইংলেন্ড মুখোমুখি হচ্ছে কলম্বিয়ার।
কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার মতো কতটা শক্তি ইংলেন্ডের আছে? ইংলেন্ডের মূল শক্তি বা বৈশিষ্ট্য কী? ইংল্যান্ড দলটি আসলে কতটা ভালো? এসকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিক। যদিও তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে খুব ভালোভাবেই উঠেছে।
দলটির ম্যানেজার সাউথগেট নিজেও স্বীকার করেন যে, যতক্ষণ না ইংল্যান্ড টুর্নামেন্টের শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোকে হারাতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত দলটিকে সেরা বলা যাবেনা।
পরিসংখ্যান বলছে ২০০৬ এর পর থেকে নক আউট পর্যায়ে কোন ম্যাচ জেতার রেকর্ড নেই ইংলেন্ডের। গ্রুপ পর্বে এবার ইংলেন্ড তিউনিসিয়া আর পানামাকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে। যদিও এদল দুটোর মধ্যে কোনোটিই তেমন উঁচু মানের নয়। আর সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে জয় ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা যে ইংল্যান্ড আসলে কতটা শক্তিশালী দল।
ইংলেন্ডের রয়েছেন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন এবারের বিশ্বকাপে তিনি ভালো ফর্মেও আছেন। কিন্তু কলম্বিয়ার সাথে জিততে হলে শুধুমাত্র স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনক ভালো খেললে হবে না সেসাথে ফ্যাবিয়ান ডেলফকে জ্বলে ওঠা অপরিহার্য্য। আজকের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কোনো ভুল করার সুযোগ নেই। কারণ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সামান্য ভুলই শেষ করে দিতে পারে ইংলেন্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। তাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে অন্তত পাঁচ সেরা তারকাকে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটাই দিতে হবে। জন স্টোনসকে রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে তার নামের প্রতি সুবিচার করতে হবে। আর মিডফিল্ডে জর্ডান হ্যান্ডারসনই হতে পারেণ ইংলেন্ডের মূল কাণ্ডারি। গ্রুপ পর্বের দুটো জয়েই তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। রাদামেল ফ্যালকাও বিশ্বমানের স্ট্রাইকার তাতে সন্দেহ নেই। যদি ইনজুরির কারণে প্রিমিয়ার লীগে খুব একটা খালো খেলতে পারেনি। হয়তো আজকের ম্যাচে তিনিই হয়ে উঠবেন প্রতিপক্ষের জন্য বিপজ্জনক।
এদিকে বেলজিয়ামের বিপক্ষে বেশ সমালোচনায় পড়েছিলে গোলকিপার জর্ডান পিকফর্ডক। তারপরেও কোচের আস্থায় আছেন তিনি।