• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মাতৃভূমি নাকি পেশাদারিত্ব!

থিয়েরি অরি বেলজিয়াম ফুটবল সাহকারী কোচ

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

মাতৃভূমি নাকি পেশাদারিত্ব!

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ জুলাই ২০১৮

ফাইনালে মাঠে না থাকলেও ১৯৯৮ সালের ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন থিয়েরি অঁরি। ২০ বছর পর আবারো শিরোপা জয়ের হাতছানি অঁরির সামনে। তবে এবার আর ফুটবলার হিসেবে নয়, সহকারী কোচ হিসেবে।

আর মাত্র দুটি বাধা পার হতে পারলেই আরো একবার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে স্পর্শ করতে পারবেন ফ্রান্সের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলারটি। অঁরির এই সুযোগ মাতৃভূমি ফ্রান্স নয়, বরং বেলজিয়ামের হয়ে। কারণ বেলজিয়ামের সহকারী কোচ এই সাবেক ফরাসি স্ট্রাইকার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে স্বদেশের বিপক্ষে রণপরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে তাকে।

রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের এতদূর উঠে আসার পেছনে বড় অবদান থিয়েরি অঁরির। বিশ্বকাপের মঞ্চে লুকাকু যে আলো ছড়াচ্ছেন তার পেছনের কারিগর তিনি। শুধু তাই নয়, হ্যাজার্ড যে নীরবে সাফল্যের সৌধ নির্মাণ করে চলেছেন তার নেপথ্যের নায়কও সাবেক আর্সেনাল তারকা।

সেমির লড়াইয়ে জন্মভূমি ফ্রান্সের বিপক্ষে তেমনই কৌশল সাজাতে হচ্ছে অঁরিকে। নিজ দেশকে কীভাবে হারাতে হবে, কীভাবে ভিন্ন একটি দেশের হাতে তুলে দিতে হবে বিশ্বকাপের শিরোপা, সে পরিকল্পনাতেই বুঁদ এখন অঁরি।

ফ্রান্সের এই দলটিকে অঁরি খুব ভালো করেই চেনেন। নিজ দেশের ফুটবলারদের খুব কাছ থেকে দেখার-জানার সৌভাগ্য হয়েছে অঁরির। সুতরাং তাদের দুর্বলতা বের করা কোনো ব্যাপারই নয় তার জন্য।

ফ্রান্সের সবচেয়ে নামি দৈনিক লেকিপ বেলজিয়াম-ফ্রান্স ম্যাচের নাম দিয়েছেন দিদিয়ের দেশম বনাম থিয়েরি অঁরির লড়াই। বিশ্ব ফুটবলে এত বড় তারকা এমন ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়েছিলেন কি না তা জানা নেই কারো। একদিকে মাতৃভূমির টান, অন্যদিকে পেশাদারিত্ব। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, পেশাটাকেই গুরুত্ব দেবেন অঁরি। কিন্তু এতে যদি ফ্রান্সের পরাজয় ঘটে, তাতে কি অনুশোচনায় ভুগবেন না ফ্রান্সের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads