• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আজ নজরে থাকবে যারা

রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮

সংরক্ষিত ছবি

ফুটবল

আজ নজরে থাকবে যারা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৮

রক্ষণে দৃঢ়তা, আক্রমণে ক্ষিপ্রতা আর গোলের নৈপুণ্য দেখাতে রাশিয়ার মাটিতে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্ব ফুটবলের তারকারা। ফুটবলে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলার সঙ্গে সোনালি ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে নামেন তারা। সেই লড়াইয়ে এখন টিকে আছেন কয়েকজন। আজ শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামবেন। শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বেন ফ্রান্সের গ্রিজম্যান-এমবাপে ও ক্রোয়েশিয়ার মডরিচ-রাকিটিচ।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেন আন্তোনি গ্রিজম্যান। ২৭ বছর বয়সী এই তারকা পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স বজায় রাখেন। দলকে ফাইনালে নিয়ে আসতে তিনটি গোল করেন, দুটি গোলে সহায়তা করেন। ১৯৯৮ সালে জিনেদিন জিদান ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এনে দেন। ২০০৬ সালে ফের ফাইনালে নিয়ে যান। এবার গ্রিজম্যানের হাত ধরে ফাইনালে ফরাসিরা। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তাদের। সেই স্বপ্ন পূরণে আজও সমর্থকদের নজরে থাকবেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের তারকা।

২০ বছর আগে ফ্রান্স পেয়েছিল অঁরি-জিদান জুটি। এবার গ্রিজম্যান আক্রমণভাগে জুটি হিসেবে পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপেকে। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্ষিপ্রতা চোখ কপালে তোলার মতো। তার কাছে পরাস্ত হয় আর্জেন্টিনার পুরো রক্ষণভাগ। শেষ ষোলোর সেই ম্যাচে চার মিনিটে ব্যবধানে দুটি গোল করেন। ছয় ম্যাচে তার মোট গোল তিন। দু’বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন। গোল্ডেন বল জয়ের দৌড়েও তার নাম শোনা যায়। তাই ফাইনাল ম্যাচে ফরাসিদের ভরসা পিএসজির এই তারকা।

এবারের বিশ্বকাপে মাঝমাঠে রাজত্ব করে ক্রোয়েশিয়া। আর সেখানে রাজা ছিলেন দলটির জোড়া মানিক লুকা মডরিচ ও ইভান রাকিটিচ। লা লিগার দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার হয়ে খেলেন তারা। সেরা ক্লাব দুটির সেরা দুই মিডফিল্ডার বিশ্বকাপে খেলেন একই দলের হয়ে। ফলে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নাচিয়ে তোলেন তারা। উড়ে যায় প্রতিপক্ষরা। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার মতো দলকে তারা হারায় ৩-০ গোলে। মাত্র তিনটি দল এবার পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট কাটে। তার মধ্যে ক্রোয়েশিয়া একটি। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারায় স্বাগতিক রাশিয়াকে। সেমিতে তাদের কাছে পরাস্ত হয় শক্তিশালী ইংল্যান্ড। প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় ক্রোয়েটরা।

ক্রোয়েশিয়ার এমন সাফল্যে নেতৃত্ব দেন মডরিচ। সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। যাকে বলা হয়েছিল যে শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ঘাটতি থাকায় পেশাদার ফুটবলার হতে পারবে না- সেই মডরিচ রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মিনিট মাঠে ছিলেন। সবচেয়ে বেশি মাইল দৌড়িয়েছেন। দলের হয়ে দুটি গোল করেন। অন্যকে একটি গোলে সহায়তা করেন। দু’বার টাইব্রেকারে গোল করেন। গত ছয় ম্যাচে চারবার ম্যাচসেরার পুরস্কার লাভ করেন। ফাইনাল ম্যাচেও তার দিকে নজর থাকবে পুরো বিশ্বের।

ক্রোয়েশিয়া দলের মাঝমাঠের আরেক প্রাণভোমরা ইভান রাকিটিচ। মডরিচের মতো তত পরিশ্রম না করলেও মাঝমাঠে সমানতালে অবদান রাখেন। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোলও করেন বার্সেলোনা তারকা। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে দলের জয়সূচক গোল দুটি করেন তিনি। ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষেও তার নৈপুণ্য দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads