• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আইফেল টাওয়ারের পাশে ৯০ হাজার!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে উৎসবমুখর ফরাসিরা

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

আইফেল টাওয়ারের পাশে ৯০ হাজার!

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

ভয় পায়নি ফরাসিরা। অন্যতম বিশ্ব সৌন্দর্য ‘আইফেল টাওয়ার’-এর পাশে তাই রোববার রাতে ৯০ হাজার ফুটবল সমর্থকের জমায়েত হয়। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বড় স্ক্রিনে একসঙ্গে খেলা দেখল তারা। ফাইনালে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতল। ফাইনালে রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই গাড়ির হর্নের কান ফাটানো আওয়াজে মেতে উঠল আইফেল টাওয়ারের পাশের ওই বিশাল জনতার সঙ্গে ফ্রান্সবাসী। সঙ্গে লাল, সাদা, নীল রঙে ঢাকল গোটা দেশ। রাজধানী প্যারিস ছাড়াও মার্সেই, লিঁও, লিলে, বোর্দো জুড়ে একটাই কোরাস- ‘‌উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন্স, উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন্স’‌।

অন্য উইকএন্ড কাটে যেমন-তেমন। কবিতার শহরে যেমন-তেমনও তো নতুন কবিতার জন্ম দেয়। তা দেয়। কিন্তু এই উইকএন্ডের মতো নয়। কেন?‌ এই উইকএন্ডে আলাদা কী আছে?‌ গত কুড়ি বছরে যা একেবারেই ছিল না!‌ ২০০৬-এও একবার বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল ফ্রান্স। কিন্তু সেবারও কি উন্মাদনার বর্ষা এমন ছিল?‌ ১৪ বছর আগের মুহূর্ত হুবহু মনে নেই। আসলে গত কয়েক বছরে কিছু মুহূর্ত এত বেশি করে দাগ কেটেছে, এত বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে যে, কিছুই আর মনে থাকে না ফরাসিদের!‌ ২০১৫। ১৩ নভেম্বর। ব্ল্যাক ফ্রাইডে। সেন্ট-ডেনিসে আত্মঘাতী বোমারুর হানা। প্রথমে। তারপর একের পর এক রেস্তোরাঁ, কফি শপে হানা। কনসার্ট চলাকালীন থিয়েটারে হামলা, বন্দি বানানো। মৃতের সংখ্যা, নিহতের সংখ্যা, রক্তের দাগ, বারুদের গন্ধ ভয় ধরিয়ে দিল বুকে। যে ভয় কাটেনি এখনো!‌ কিন্তু এই উইকএন্ড?‌

ওই ৯০ হাজার মানুষসহ পুরো ফ্রান্সবাসী ৯০ মিনিটের জন্য ভুলে যেতে চেয়েছিল, ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল বুকের সব ভয়। গ্রিজম্যান বোধহয় দেশবাসীর সেই ভয় সরিয়ে দিতে, জাতীয়তাবোধ জাগাতে ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা আগে বলেছিলেন, ‘‌ফরাসি হিসেবে আমি গর্বিত। আমরা গর্বিত। আমরা ফ্রান্সে সুখে থাকি। আমাদের দেশটা সত্যিই খুব খুব সুন্দর।’‌ সুন্দর তো বটেই। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটাই শেষ কথা নয়। মনের সৌন্দর্য আরো বড়। তারও প্রমাণ রেখেছে ফ্রান্স। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে তারা বুঝিয়ে দিল, চেষ্টা থাকলে লক্ষ্য অর্জন কঠিন কিছু নয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads