• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ফ্রান্সের সাফল্যের আট কারণ

দিদিয়ের দেশমকে নিয়ে ফরাসি ফুটবলারদের উল্লাস

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

ফ্রান্সের সাফল্যের আট কারণ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

‘স্লো বাট স্টেডি উইনস দ্য রেস’- প্রমাণ করে দিল ফ্রান্স। ডেনমার্কের সঙ্গে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্রর পর অনেকেই ভেবেছিলেন বড়জোর কোয়ার্টার ফাইনাল। তারপরই দৌ‌ড় শেষ হয়ে যাবে ফরাসিদের। কিন্তু সব ছক উল্টে দিয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেন তারাই। শেষ হাসি হাসল, ছবির দেশ, কবিতার দেশ। তাদের সাফল্যের প্রধান আট কারণ-

এক. ফ্রান্সের এই দলের গড় বয়স মাত্র ২৬। তারুণ্যে ভর করেই এবার চ্যাম্পিয়ন হলো ফ্রান্স। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপটা নিজেদের দখলে রাখলেন এমবাপেরা।

দুই. ২০১৬ ইউরো ফাইনালে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল পর্তুগালের কাছে হেরে যাওয়ার মন খারাপটা ভুলতে পারেনি ফ্রান্স। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হলো ফরাসিদের। এবার তাই প্রথম থেকেই দেশমের শিষ্যদের আত্মবিশ্বাস ছিল, কিন্তু তা কখনোই অতিরিক্ত ছিল না।

তিন. তুলনামূলকভাবে নতুন প্রতিভাদের নিয়ে গড়া দল এই ফ্রান্স। সেখানে আছেন পরীক্ষিত ও উদীয়মান তারকারা। বিশ্বকাপ জুড়ে তারা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সবাইকে ছাপিয়ে না গেলেও শক্তিশালী দল হিসেবে সমীহ আদায় করেছেন।

চার. মিডফিল্ডার কন্তে প্রতিপক্ষের পা থেকে মোট ৫২ বার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন। প্রতিটি ম্যাচে তার অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করেছিল দল। আর্জেন্টিনাকে যে ম্যাচে ফ্রান্স হারাল, সেখানে মেসিকে কিন্তু আটকে দিয়েছিলেন এই তরুণই।

পাঁচ. এমবাপে, পগবা, গ্রিজম্যানদের লক্ষ্যভেদই ফ্রান্সকে এনে দিয়েছে জয়ের শিরোপা। ফাইনালে গ্রিজম্যানের ফ্রি কিকেই মানজুকিচের মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ানোয় ‌আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে লুকা মডরিচের দল।

ছয়. ভারের মাধ্যমে রেফারির পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিন্তু ফ্রান্সের মনোবল বাড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ। পেনাল্টি থেকে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোলটি করে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান।

সাত. ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোল করেন এমবাপে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি পেলেকে। পুরো টুর্নামেন্টেই এমবাপের গতি সমস্যায় ফেলেছে বিপক্ষকে।

আট. ফ্রান্সের অভিজ্ঞতাও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিদিয়ের দেশমের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের কাছেই হেরে গেছেন বিপক্ষের কোচরা। ’৯৮ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads