• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দালিচের ‘পেনাল্টি’ আক্ষেপ

ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

দালিচের ‘পেনাল্টি’ আক্ষেপ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

লুঝনিকিতে ফাইনালে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু রূপকথার ফাইনালের যবনিকা হলো হার দিয়ে। ৪-২ গোলে জিতে ফ্রান্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। শেষ দিকে এসে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যাওয়ার হতাশার সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার গর্বও অনুভব করছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্বকাপে অচেনা হয় তারকা। আর তারকা হয় মহাতারকা। তেমনি রাশিয়া বিশ্বকাপ কোচদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার কোচই বড় তারকা। বিশ্বকাপের ফাইনালে পেনাল্টি বিতর্কটাকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না তিনি, ‘ফাইনালে এমন পেনাল্টি দেওয়া যায় না। টুর্নামেন্টে ভাগ্যের ব্যাপারটা থেকে থাকলে সেটা আমাদের কমতি ছিল। প্রথম দুই গোলকে সম্মান করেই বলছি। ম্যাচে আমাদের আধিপত্য থাকলেও আমাদের গোলমুখে তারা কোনো আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু প্রথম গোলটি ছিল আত্মঘাতী। আমরা সমতা এনে ফেললাম, খেলোয়াড়রা হাল ছাড়ল না, কিন্তু এরপর পেনাল্টিটা আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেল।’

৫১ বছর বয়সী ক্রোয়াট কোচের ক্ষোভ না থাকলেও কণ্ঠে ছিল আক্ষেপ, ‘রেফারিকে আমি সম্মান করি এবং তিনি যা দেখেছেন তাই দিয়েছেন। আমি নেতিবাচক মনে করছি না। ফুটবলের জন্য ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ভালো কিন্তু যখন এটা আপনার বিরুদ্ধে যায় তখন খারাপ।’

ক্রোয়েশিয়ার লড়াকু দলটা নিয়ে গর্বের শেষ নেই দালিচের। এখন নিরাপদে দেশে ফিরে বিশ্রাম নিতে চান তিনি, ‘গেল দুই মাস খুব কঠিন সময় গেছে। এই ছেলেদের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল বড়ই সুন্দর এবং আমাদের সবার সময় একসঙ্গে যেভাবে কাটল তাতে আমি খুশি। এখন একটু নিঃশ্বাস নিতে চাই। রাতারাতি আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেই না, আর নেবও না। এখন নিরাপদে ক্রোয়েশিয়া ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার কথাই কেবল ভাবছি।’

এবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারল না মাত্র ৪৫ লাখ জনগণের দেশটি। তবু ভেঙে পড়েনি তারা। কিন্তু দলটির সহকারী কোচ দ্রাজেন লাদিচ মর্মাহত ওই বিতর্কিত পেনাল্টিটা নিয়ে, ‘আমি আগে ফ্রান্সকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা বেদনাহত কিন্তু একই সঙ্গে গর্বিতও। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। তবে এটাই ফুটবল। ফ্রেঞ্চরা আমাদের চমকে দিতে পারেনি। ওদের গোটা দুয়েক সস্তা গোল উপহার দিয়েছি আমরা। এর সঙ্গে একটা আত্মঘাতী ও পেনাল্টি যোগ হয়েছে।’

১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেরা গোলদাতা এবং বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ডেভর সুকার বলেন, ‘এটা গর্ব করার মতো সাফল্য। এখানে থামলে চলবে না। ভবিষ্যতে আমরা একদিন বিশ্বকাপের ট্রফি দেশে আনবই।’ যদিও ফ্রান্সের পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ইংলিশ লিগের সাবেক এই ফুটবলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads