• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
‘স্বপ্ন হলো সত্যি’

ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

‘স্বপ্ন হলো সত্যি’

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৮

ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক এখন ব্রাজিলের অ্যালিসন বেকার। ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ছয় বছরের জন্য খেলার সুযোগ পেয়েছেন ইউরোপের নামিদামি ক্লাব লিভারপুলে। এমন লোভনীয় তকমা নিজের পিঠে লাগানো বা বিশ্বের বড় কোনো ক্লাবে খেলার স্বপ্ন কোন গোলরক্ষক না দেখেছেন? সবার স্বপ্ন আলোর মুখ দেখে না। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার অ্যালিসনের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাই বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস যেন তাকে ভাসিয়ে দিয়েছে আনন্দের সাগরে। দ্য রেডদের চুক্তিপত্রে সই করে অ্যালিসন জানালেন তার অসম্ভব ভালো লাগার অনুভূতির কথা, ‘আমি সত্যিই খুশি। নিয়মিত জয়ের ধারায় থাকা এমন একটি ক্লাবের সম্মানজনক জার্সি গায়ে জড়ানোর স্বপ্নটা আমার সত্যি হলো।’

গোলরক্ষকদের দলবদলের রেকর্ড ভেঙে ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমা থেকে ব্রাজিলিয়ান এ নাম্বার ওয়ানকে দলে টেনেছে কোচ জুর্গেন ক্লপের ক্লাব। লিভারপুলের মেলউড অনুশীলন ক্যাম্পে মেডিকেলসহ ট্রান্সফারের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে ভূ-মধ্যসাগরীয় ইতালিয়ান দ্বীপ সার্দিনিয়ায় স্ত্রী নাটালিয়া লোয়ে ও ছোট্ট তনয়া হেলেনাকে নিয়ে চলমান সফরে বিরতি দিয়ে মার্সেসাইড ক্লাবে উড়ে যান অ্যালিসন। যাবেনই বা না কেন? এটি যে তার ফুটবল ক্যারিয়ারকে উন্নতির উচ্চ শিখরে তুলে দিয়েছে। নতুন ঠিকানায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথাটা স্বীকারও করে নিলেন সেলেসাও শিবিরের গোলবারের এই অতন্দ্র প্রহরী, ‘আমার জীবন ও ক্যারিয়ারের দিক থেকে প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাব ও তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে আমি বিশাল একধাপ এগিয়ে গেলাম। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন আমি আমার সবটুকু নিগড়ে দেব ক্লাবের জন্য।’ চুক্তিতে সই করেই অ্যালিসন ব্যক্তিগত জেট বিমানে ইতালি ফিরে গেছেন ছুটির বাকি অংশটা কাটানো জন্য।

গত এপ্রিলে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছিল এএস রোমা। অ্যানফিল্ডের প্রথম লেগে মনোমুগ্ধকর খেলায় অ্যালিসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাঁচ গোল দিয়ে বসে মোহামেদ সালাহর নেতৃত্বে তেজস্বী দ্য রেডস শিবির। সেই স্মৃতি সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে বলে মেনে নিলেন অ্যালিসন- ‘হ্যাঁ, লিভারপুলে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্তে এটা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে।’

লিভারপুলের মতো ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেই ছোটখাটো বিষয় নয়। অনেক ভেবেচিন্তেই নিতে হয়েছে অ্যালিসনকে। কারণ তার পুরো জীবন আর তার পরিবারের ভবিষ্যৎও এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত, ‘আপনি যখন এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন তখন বুঝতে পারবেন এটা কেবল ক্লাব বদলের সিদ্ধান্ত নয়। কার্যত এটা আপনার পুরো জীবনকে বদলে দেবে। আমার পরিবারের জীবন, আমার স্ত্রী ও আমার কন্যার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে।’

তাই শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটিই নয়। জার্মান কোচ ক্লপের খেলার কৌশলটাও মনে ধরেছে অ্যালিসনের। তাই ইংলিশ লিগের এই জায়ান্ট ক্লাবের অংশ হতে পেরে যারপরনাই রোমাঞ্চিত ২৫ বছরের এ শট কিপার, ‘সেই ম্যাচ অবশ্যই প্রভাব রেখেছে। কিন্তু আমি ক্লাবটির অন্য ম্যাচও দেখেছি। অন্য ম্যাচগুলোতে দেখেছি ক্লপের খেলানোর ধরনটা। এটাই দলটিতে যোগ দিতে আমাকে সত্যিই শিহরিত করেছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads