• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
শিরোপা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

শিরোপা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৫ আগস্ট ২০১৮

সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় বসেছিল আসরটি। এবার দ্বিতীয় আসরটির আয়োজক পাহাড়ের দেশ ভুটান। আগামী ৯ আগস্ট থেকে থিম্পুতে শুরু হতে যাচ্ছে কিশোরীদের শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াই। শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখার মিশন নিয়ে আগামীকাল সোমবার থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল।

ছয় জাতির এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ নেপাল ও পাকিস্তান। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে লাল-সবুজরা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ১৩ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বের বাধা উতরাতে পারলে ১৬ আগস্ট সেমিফাইনালে মাঠে নামতে হবে আঁখি-মারিয়াদের। আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে ১৮ আগস্ট।

পুরুষ ফুটবলের চেয়ে মহিলা ফুটবলে প্রত্যাশাটা একটু বেশি থাকে সবার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মহিলা দলের একের পর এক সফলতার কারণেই প্রত্যাশার বেলুন ফুলেফেঁপে উঠেছে। তবে এটাকে চাপ নয়, বরং উৎসাহ মনে করেই মাঠে নামতে চান ফুটবলাররা। এবারের আসরেও শিরোপায় চোখ ছোটনের শিষ্যদের। গত বছর যে দলটি খেলেছিল, সে দলের ১৮ জন সদস্য আছেন এবার দলে। ২৩ সদস্যের দলে বাকিরাও পরীক্ষিত। তাই কোচের দৃষ্টিও শিরোপার দিকেই, ‘গত আসরে আমরা দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আশা করছি এবারো দৃষ্টিনন্দন ফুটবল উপহার দেবে আমাদের মেয়েরা। তবে শিরোপা জিততে ভালো ফুটবল খেললেই হয় না, ভাগ্যের সমর্থনও লাগে। তা পেলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব বলে আশাবাদী।’ দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কোচ বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে দলের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যায়। আমরা এবার অনুশীলনের পাশাপাশি নিয়মিতই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। ওই ম্যাচগুলোর ভুল মেয়েদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাদের আরো পরিণত করে তুলেছে।’

গত বছর অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ১৩ গোল করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে কোনো গোল হজম করতে হয়নি। এ অঞ্চলের পরাশক্তি ভারতকে দুইবার হারিয়েছে লাল-সবুজরা। ওই সাফল্যের পর জাতীয় দলের ক্যাম্পে নিয়মিত অনুশীলনে ছিলেন মেয়েরা। মাঝে হংকংয়ে এক প্রতিযোগিতায় মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার তিন দেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গ টেনে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘মেয়েদের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। শামসুন্নাহার-তহুরা আক্তাররা পরীক্ষিত। তাদের পাশে এবার থাকবেন শাহেদা আক্তার, ইলামনি, নওশিন ও রোজিনাদের মতো প্রতিভাবান ফুটবলাররা। জেএফএ কাপ ও বাংলাদেশ গেমসে তারা দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে দলে স্থান করে নিয়েছেন।’

গত আসরে রক্ষণভাগে ক্যারিশমা দেখিয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন আঁখি খাতুন। মহিলা দলের ‘কায়সার হামিদ’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল তাকে। সুঠাম দেহের অধিকারী এ ফুটবলার আছেন এবারো দলে। গতকাল আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রক্ষণভাগ নিয়ে অনুশীলনে অনেক কাজ করা হয়েছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমরা অনেক ভালোভাবে সামাল দিতে পারব নিজেদের। আশা করি এবারো আমরা জাতিকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads