• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
হারে শুরু জেমি শিবিরের

এশিয়ান গেমসের গ্রুপ পর্ব কখনোই উতরাতে পারেনি টিম বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

হারে শুরু জেমি শিবিরের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৫ আগস্ট ২০১৮

উজবেকিস্তান-ভীতিটা এখনো কাটেনি বাংলাদেশের। গত দুই আসরের মতো এবারের এশিয়ান গেমসেও হারতে হলো লাল-সবুজদের। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার ভোগর শহরের পাকান সারি স্টেডিয়ামে উজবেকরা জয় পায় ৩-০ গোলের। ম্যাচে একটি করে গোল করেন ইউরিনবোয়েভ, দুস্তানবেক ও আলিবায়েভ। এ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে অভিষেক হয়েছে জেমি ডে’র। অভিষেকটাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না এ ইংলিশ কোচ। আগামীকাল ১৬ আগস্ট থাইল্যান্ড ও ১৯ আগস্ট কাতারের মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়ার দল।

এশিয়ান গেমসের গ্রুপ পর্ব কখনোই উতরাতে পারেনি টিম বাংলাদেশ। প্রতিবারই ‘অভিজ্ঞতা’ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে অংশ নিয়েছে জাতীয় দল। এবারো এর ব্যতিক্রম নয়। অভিজ্ঞতার ঝুলিটাকে সমৃদ্ধ করতেই ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রা করেছিল সুফিল-তপু-শাহেদরা। চলতি এ গেমস ও ঘরের মাঠে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে জেমি ডে’র অধীনে গত দুই মাস কঠোর অনুশীলন করেছেন ফুটবলাররা। ঢাকা, কাতার, ঢাকা, দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যায় অনূর্ধ্ব-২৩ দল। উজবেকিস্তানের কাছে হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে পড়া বাংলাদেশ দলের এবার লক্ষ্য ছিল কম ব্যবধানের হার। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি।

কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে উজবেকরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দেশটি রয়েছে ৯৫ নম্বরে। আর বাংলাদেশের স্থান ১৯৪-তে। র্যাঙ্কিংয়ের ফারাকটাই দু’দলের শক্তির পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট। ম্যাচে জয়টা হয়তো আরো বড় হতে পারত উজবেকিস্তানের। গতকাল ম্যাচ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে উজবেকরা। একের পর এক আক্রমণ করে কোণঠাসা করে ফেলে লাল-সবুজদের। ফলও পেতে দেরি হয়নি তাদের। ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় উজবেকিস্তান। বাংলাদেশের বুকে প্রথম আঘাতটা হানেন ফরোয়ার্ড ইউরিনবোয়েভ। সতীর্থ আলিবায়েভের পাস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান এ ফরোয়ার্ড (১-০)। প্রথমার্ধে আরো কয়েকবার বাংলাদেশের সীমানায় আঘাত করেছিল উজবেকিস্তান। কিন্তু ১-০ গোলের লিড নিয়ে নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার কমায়নি তারা। ৫৭ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে উজবেস্তান। এবার গোলের নায়ক দুস্তানবেক। জাভিখিলোর দেওয়া বলে নিশানা ভেদ করেন তিনি (২-০)। ৯ মিনিটের ব্যবধানে লাল-সুবজ জার্সিধারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আলিবায়েভ (৩-০)। কর্নার থেকে পাওয়া বল প্রথমে জালুলিদ্দিন শট নিলে গোলরক্ষক আশরাফুল রানা লাফিয়ে সেভ করেন। কিন্তু ফিরতি বলটি আর রুখতে পারেননি তিনি। আলিবায়েভ ডি বক্সের ভেতর থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দারুণ এক শটে গোল আদায় করে নেন। এরপরও বাংলাদেশের গোলবারে আক্রমণ করেছিল প্রতিপক্ষরা। কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি উজবেকিস্তান। তাই ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। তবে ব্যবধান আরো বড় হতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশি গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার দৃঢ়তায় সেটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তিনি একাই প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের সাতটি দুর্দান্ত আক্রমণ প্রতিহত করেন।

উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া যে সম্ভব নয়, সেটা আগেই অনুমেয় ছিল। তাই কোচ জেমি ডে রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলার চেষ্টা করেছিলেন। নিজেদের রক্ষণ আগলে রেখে কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাচ খেলার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads