• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বর্ণিল আয়োজনে শুরু এশিয়ান গেমস

আতশবাজির ঝলকানি ছিল জাকার্তার স্টেডিয়ামে

সংরক্ষিত ছবি

খেলা

বর্ণিল আয়োজনে শুরু এশিয়ান গেমস

  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

কবিরুল ইসলাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে

‘এনার্জি অব এশিয়া’ বা ‘এশিয়ার প্রাণশক্তি’ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ১৮তম এশিয়ান গেমস। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার জিবিকে স্টেডিয়ামে এশিয়া মহাদেশের অলিম্পিক খ্যাত এ আসরের উদ্বোধন করেন আয়োজক দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। আর গেমসের মশাল প্রজ্বালন করেন ইন্দোনেশিয়ান ব্যাডমিন্টনের জীবন্ত কিংবদন্তি সুসি সুশান্তি। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়ার ৪৫টি দেশের ১১ হাজারের বেশি অ্যাথলেটের এ লড়াই। ৪৬৫ পদকের জন্য লড়াই হবে ৪০টি ইভেন্টে।

আয়োজক ইন্দোনেশিয়া আগেই ঘোষণা দিয়েছিল সফল একটি আয়োজন উপহার দেওয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের সে ঘোষণা কিছুটা হলেও ফুটে উঠেছিল। যেখানে নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির পাশাপাশি লাল-নীল আলোকচ্ছটায় রঙিন হয়ে উঠেছিল জাকার্তার আকাশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চের পেছনেই নির্মাণ করা হয়েছিল ২৬ মিটার উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড়ের চূড়ায় প্রজ্বালন করা হয় গেমসের মশাল। তার আগে ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত শিল্পীদের পারফরম্যান্সে মেতে উঠেছিল আগত দর্শকরা। বিশেষ করে আনগুন মঞ্চে আসার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে স্থানীয় দর্শকরা। একসঙ্গে চার হাজার নৃত্যশিল্পীর চমৎকার পরিবেশনার মধ্যে ছিল ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছোঁয়া। যে নৃত্যের প্রতিভাতে ছিল নিজস্বতা। 

তবে শেষের আলোকচ্ছটার মতো শুরুতেও এশিয়াবাসীকে চমকিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অনুষ্ঠানে আগমনের এক ভিডিওতে তিনি ‘প্রাণশক্তি’র বার্তা দেন। মাত্র পাঁচ মিনিটের ওই ভিডিওতে যেমন শিক্ষণীয় ছিল অনেক বিষয়, তেমনিভাবে চমকে ছিল ভরপুর। ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে গিয়ে জোকো নিজের গাড়ি থেকে নেমে মোটরবাইকে উঠে বসেন। হেলমেট মাথায় নিয়ে নিজেই বাইক চালাতে শুরু করেন। দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সাপের মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বাইক চালাচ্ছেন। কখনো বাইক থামিয়ে স্কুলের বাচ্চাদের সড়ক পার হতে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু কেউ চিনতে পারছেন না আসলে ব্যক্তিটি কে? শেষ পর্যন্ত তিনি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে করতালিতে ফেটে পড়ে জিবিকের প্রাচীর। চিৎকার করে স্বাগত জানানো হয় জোকোকে। একজন প্রেসিডেন্ট কতটা জনপ্রিয় হলে সে দেশের মানুষ এতটা উল্লাস করতে পারে, সেটা গতকাল দেখা গেল জাকার্তায়।

গেমসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী এ তারকার পেছনেই ছিল পুরো দল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads