• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শেষটা রাঙাতে পারল না কিশোরীরা

গোল করার পর ভারতের ফুটবলারদের উল্লাস

ছবি -ইন্টারনেট

ফুটবল

বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

শেষটা রাঙাতে পারল না কিশোরীরা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

শেষটা এমন বিষাদ ও আফসোসময় হবে, তা কেউ ভাবেনি। কিন্তু কিশোরীদের সাফ ফুটবলের ফাইনালে হলো তেমনই। গোল মিসের মহড়ায় হতাশায় ন্যুব্জ যখন মারিয়া-তহুরারা, ঠিক তখনই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা গোটা ভারতীয় শিবির। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে গতকাল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফাইনালে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা করায়ত্ত করেছে ভারত। গত বছর প্রথম আসরে এই ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার দ্বিতীয় আসরে সেই হারের শোধটাই যেন নিল ভারতের মেয়েরা।  

অথচ শেষটা হতে পারত রঙিন। যদি সহজ গোলের সুযোগগুলো নষ্ট না হতো। ফাইনালের আগের তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ২২ গোলে ডুবিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। হজম করতে হয়নি একটি গোলও। অথচ শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালেই বাংলাদেশের জালে জড়ালো বল। হাতছাড়া হয়ে গেল শিরোপা।

ভারত শক্তিশালী। তা জানা ছিল আগেই। বাংলাদেশও ছিল লড়াকু মেজাজে। ফলে মাঠের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। প্রথমার্ধে দুই দলই আক্রমণ শানায় সাধ্যমতো। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোনো দল এই অর্ধে। গোলপোস্টে বেশ কয়েকবার ভারতের আক্রমণ দক্ষতার সঙ্গে রুখে দেয় বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা। বাংলাদেশও আক্রমণ করেছে। তবে ফিনিশিংয়ে ছিল ছন্নছাড়া চিত্র। বল খুঁজে পায়নি জাল।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে বাঁ দিক থেকে ঢুকে পড়েছিল তহুরা। সামনে ছিল শুধু ভারত গোলরক্ষক। কিন্তু ঠিকমতো প্লেসিং করতে পারেনি সে। আফসোস। এর ঠিক দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ভারত। ৬৬ মিনিটে কর্নারে দুজন খেলোয়াড় বল দেওয়া-নেওয়া করে দিল ক্রস। তাতে দারুণ ভলিতে ভারতকে লিড এনে দেয় সুনীতা মুন্ডা (১-০)।

গোল হজমের পর আক্রমণের ধার বাড়ে বাংলাদেশের মেয়েদের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৮১ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি পেতে পারত বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট গ্লাভসবন্দি করে ভারত গোলরক্ষক। বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে (৯৪ মিনিটে)। ডান প্রান্ত থেকে হাওয়ায় ভাসানো বল কোনোমতে ছুঁয়ে দিতে পারলেই আসত গোল। কিন্তু হয়নি।

এর কিছুক্ষণ পরই রেফারির শেষ বাঁশি। তহুরা, মারিয়া, আঁখিদের আফসোস আর আহাজারিতে যেন ভারী হয়ে ওঠে থিম্পুর আকাশ-বাতাস। বিপরীত চিত্র ভারত শিবিরে। জাতীয় পতাকা হাতে ভারতীয় কিশোরীদের প্রথম শিরোপা জয়ের উৎসব ছিল বাঁধনহারা।  

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads