• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জয়ের সঙ্গে লাগবে ভাগ্যের ছোঁয়া

জাকার্তার প্যাট্রিয়ট চন্দ্রভাগা স্টেডিয়ামে কাতারের মুখোমুখি বাংলাদেশ

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

জয়ের সঙ্গে লাগবে ভাগ্যের ছোঁয়া

  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

স্পোর্টস রিপোর্টার, ইন্দোনেশিয়া থেকে

এশিয়ান গেমসে ফুটবল ইভেন্টের গ্রুপ পর্বের বাধা কখনোই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে এবার সেই না পারার হতাশা কাটানোর বড় একটা সুযোগ রয়েছে লাল-সবুজদের সামনে। সেজন্য লাগবে একটি জয়ের সঙ্গে ভাগ্যের ছোঁয়া। প্রথমত, আজ জিততে হবে কাতারের সঙ্গে, অন্যদিকে উজবেকিস্তানের সঙ্গে থাইল্যান্ড যেন হেরে যায়, সেই কামনাও করতে হবে বাংলাদেশকে। আর তাহলে প্রথমবারের মতো এশিয়াড ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখাবে জেমি ডে’র শিষ্যরা। ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। জাকার্তার প্যাট্রিয়ট চন্দ্রভাগা স্টেডিয়ামে কাতারের মুখোমুখি বাংলাদেশ। পাকানসারিতে আরেক ম্যাচে উজবেকদের মুখোমুখি থাইল্যান্ড। একই গ্রুপে থাকা উজবেকিস্তান টানা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছে।

দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে এখন লড়াইটা হবে থাইল্যান্ড, কাতার ও বাংলাদেশের। কারণ তিন দলেরই সম্ভাবনা আছে। থাইল্যান্ড দুই ড্রয়ে রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেলে সরাসরি ৫ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে চলে যাবে তারা। তখন বাংলাদেশ ও কাতার বাদ পড়ে যাবে। আর থাইল্যান্ড হেরে গেলে সম্ভাবনা জেগে উঠবে লাল-সবুজদের সামনে। কাতারকে ধরাশায়ী করতে পারলেই চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যাবেন জামাল-রানারা। ড্র করলেও গোল গড়ে এগিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারবে। তাই অনেক সম্ভাবনার একটি ম্যাচকে সামনে রেখে আশাবাদী দলের হেড কোচ জেমি ডে, ‘কাতার উজবেকদের কাছে ছয় গোল খেলেও খাটো করে দেখছি না মোটেও। তাদেরও সুযোগ রয়েছে। আমরা তিন পয়েন্টের জন্য খেলব। জয় পেলে আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।’

গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুটি একই সঙ্গে হবে। এজন্য একটু ভিন্ন কৌশলও আছে জেমির, ‘ম্যাচের কৌশল আমরা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে করব। যদি দেখি ৮০ মিনিটের দিকে ড্র করলেও চলে তখন ড্রয়ের জন্যই খেলব। কাতার অনেক ভালো দল। তাদের গতিশীল ফুটবলার রয়েছে কয়েকজন। আমরা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছি।’ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জামাল ভূঁইয়াদের অনুপ্রেরণা অ-১৬ দল। গত বছর কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলার যুবারা। ১৯৭৯ সালে জাতীয় দলের একটি গোলশূন্য ড্রয়েরও রেকর্ড রয়েছে। অতীতের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ না ভেবে ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিনের মন্তব্য, ‘আগের ম্যাচে সুফিল গোল পেয়েছে। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। নিজেদের সেরাটা খেললে কাতারকে হারানো সম্ভব।’ জাতীয় দলের সঙ্গে সহকারী কোচ হিসেবে মাহবুব হোসেন রক্সি অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। তিনিও আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের নিয়ে, ‘থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার পর দলের আবহ বদলেছে। সবাই এখন পরের রাউন্ডে খেলার স্বপ্নে বিভোর। তাই বলে আমরা বাড়তি চাপ দিচ্ছি না তারাও নিচ্ছে না।’ নানা সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশ অধিকাংশ সময় ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার অনেক সাক্ষী মামুনুল ইসলাম। সাফের প্রস্তুতির জন্য এই দলের সঙ্গেও রয়েছেন। মামুনুলের মন্তব্য, ‘দলটা ভালো অবস্থায় আছে। জিতবে বলা যায় না। তবে জেতার সামর্থ্য আছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads