• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ফুটবল উৎসবের অপেক্ষায় সিলেট

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

ফুটবল উৎসবের অপেক্ষায় সিলেট

  • আবু তাহের চৌধুরী, সিলেট
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ফুটবল আয়োজনে আলাদা একটা সুনাম আছে সিলেটের। আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানেই উপচেপড়া দর্শক। টিকেটের জন্য কাড়াকাড়ি, মাঠে প্রবেশ নিয়ে মারামারি। দর্শকের ভিড় সামলানোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর জুড়ি নেই। কঠোর হাতে সমস্ত ভিড় সামলে মাঠে নির্বিঘ্নে খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ) এরই মধ্যে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছে। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতো আন্তর্জাতিক একটি ফুটবল আসরের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ সিলেটে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৬টি দেশ পঞ্চম এ আসরে অংশ নিচ্ছে। এত বড় একটি আয়োজনকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ তৎপর ডিএসএ ও ডিএফএ। দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। সিলেটবাসীও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিদেশি দলগুলোকে বরণ করে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ। সাজ সাজ রব বিরাজ করছে স্টেডিয়ামসহ পুরো শহরেই। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের বেশিরভাগ এলাকা। ক্যারাভ্যানে চলছে প্রচারণা।  

সিলেটের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ আগস্ট। সেবার প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দল নেপাল। প্রথম আয়োজনেই নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেয় সিলেটবাসী। জেলা স্টেডিয়ামে সেদিন ছিল দর্শকদের উন্মাদনা। টিকেট না পেয়ে ফুটবলপ্রেমী মানুষগুলো সেদিন কংক্রিটের দেয়াল ভেঙে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। অবিশ্বাস্য এ জনজোয়ার দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন বাফুফের কর্মকর্তারাও। চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিল প্রীতি ম্যাচটি। শেষপর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা আর সিলেটের ফুটবলপ্রেমীদের শান্ত ভূমিকায় ম্যাচটি মাঠে গড়িয়েছিল। সেদিনের সেই ফুটবল উন্মাদনার পর থেকে সিলেটের মাঠে আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ গড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ হয়েছে পবিত্র এ ভূমিতে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে সিলেট। তবে এবার প্রথমবারের মতো ছয়টি ভিন্ন দেশ সিলেটের মাঠে ফুটবল দিয়ে মাতাবে ক্রীড়াপ্রেমীদের। তাই চোখে-মুখে ঘুম নেই স্থানীয় কর্মকর্তাদের। নিজেদের মাঠকে আরো একবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে প্রাণান্তর চেষ্টা সবার মধ্যে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জেলা স্টেডিয়াম ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্স, গ্যালারি সংস্কার শেষ। চলছে চুনকামের পর্ব। ফ্লাডলাইটের আলো কম থাকায় সেখানে কিছুটা সংস্কার আনা হয়েছে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, ‘গতকাল থেকেই অংশগ্রহণকারী দলগুলো সিলেটে আসতে শুরু করেছে। প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের রোজভিউ হোটেল ও স্টার প্যাসিফিক হোটেলে রাখা হবে। আর রেফারিসহ অন্য কর্মকর্তারা থাকবেন নির্ভানা ইন হোটেলে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। আশা করি বরাবরের মতো এবারো সফল একটি আয়োজন উপহার দিতে পারব আমরা।’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও ইতোমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে বলেন জানান ডিএসএর এই কর্মকর্তা। টুর্নামেন্টের সব ক’টি ম্যাচ বাংলাদেশ টেলিভিশন, মাছরাঙা টিভি ও নাগরিক টিভি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads