• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সেই চুক্তি ফাঁস

ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

ধর্ষণ মামলা

সেই চুক্তি ফাঁস

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

পর্তুগালের বিশ্বনন্দিত ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে নিয়ে ঘটনা এবার নতুন মোড় নিয়েছে। রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। কিন্তু বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন এই জুভেন্টাস স্ট্রাইকার। কিন্তু এবার রোনালদোর বিরুদ্ধে এক অবিশ্বাস্য প্রমাণ হাজির করল ধর্ষণের খবর প্রকাশ করা জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পিগেল। ধর্ষণ করার পর মুখ বন্ধ করতে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে যে গোপন চুক্তিপত্র করেছিলেন রোনালদো. সেটি ফাঁস করে দিল পত্রিকাটি।

নয় বছর আগে ২০০৯ সালে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন মায়োরগা। গত বছর তা প্রকাশ করে ডার স্পিগেল। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় সারা দুনিয়ায়। বেশ কয়েকবার টুইট করে অভিযোগ অস্বীকার করেন ফুটবলের এই তারকা। টুইটারে তিনি লেখেন, আমি দৃঢ়ভাবে আমার প্রতি ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছি। মায়োরগা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে আমন্ত্রণ জানান রোনালদো। সেখানে জোরপূর্বক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরের দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মায়োরগা। অভিযোগ দাখিলের পর রোনালদোর পক্ষ থেকে আপসের প্রস্তাব আসে। ২০১০ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। মায়োরগার দাবি, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া ও হয়রানির কথা ভেবে রোনালদোর সঙ্গে তিনি আপস করেছিলেন। সম্প্রতি ‘মি টু’ আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেই আপস ভেঙে ফেলেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণী।

ওই গোপন আপসনামার একটি কপি ছিল মায়োরগার কাছে। এবার ডার স্পিগেলের মাধ্যমে সেটি প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। ওই চুক্তিপত্রের নিচে মায়োরগা ও রোনালদোর স্বাক্ষর আছে। ২০১০ সালের ১২ জুলাই এটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্র প্রকাশ করে ডার স্পিগেল জানিয়েছে, এই নথির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ নেই। রোনালদোর আইনজীবীর পক্ষ থেকেও কোনো আপত্তি করা হয়নি।

এদিকে লাস ভেগাস পুলিশ জানায়, তারা ২০০৯ সালের জুনে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পায়। পরে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আর তদন্ত হয়নি। অভিযোগের সময় ওই তরুণী ঘটনার স্থান বা কোনো প্রমাণাদি পুলিশকে দেয়নি। এরপর ২০১৮ সালে এসে ভিকটিম এ নিয়ে আবারো কথা বললে সেপ্টেম্বরে গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করতে নামে। লাস ভেগাস পুলিশ জানিয়েছে, তারা রোনালদোকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads