বিশ্ব ফুটবলে ইংল্যান্ড একটি শক্তিশালী দল বলেই পরিচিত। কিন্তু তারা স্পেনের মাটিতে জয় পাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছেল। ৩১ বছর পর সেই কাঙ্ক্ষিত জয় পেল ইংল্যান্ড। রাহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত স্পেনের মাটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সোমবার ন্যাশনস লিগে ৩-২ গোলে জিতেছে সফরকারীরা। এই ন্যাশনস লিগেই প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড।
নতুন কোচ লুইস এনরিকের অধীনে উজ্জীবিত স্পেনকে হারানোটা ইংল্যান্ডের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের নেতৃত্বে স্পেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত এই জয়টিকে ২০০১ সালে মিউনিখে জার্মানিকে ৫-১ গোলে হারানোর পর ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সেরা সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। স্টার্লিংয়ের দুই গোলের মাঝখানে অপর গোলটি করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল হজম করে স্পেন অনেকটাই বিচলিত হয়ে পড়ে, যার থেকে পুরো ম্যাচে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধেই তিন গোল খাবার ইতিহাস এটাই স্পেনের জন্য প্রথম। ম্যাচ শেষে সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি এটা ভবিষ্যতে আমাদের যেকোনো দলের জন্য রেফারেন্স হয়ে থাকবে।’ মিডফিল্ডার সাউল নিগুয়েজের পরিবর্তে মাঠে নামার এক মিনিট পর ৫৮ মিনিটে পাকো আলকাসার গোল করে স্পেনকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখান। ৯৮ মিনিটে সার্জিও রামোস দ্বিতীয় গোল পরিশোধ করলেও তা স্প্যানিশদের পরাজয় আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই জয়ে উয়েফা ন্যাশনস লিগের গ্রুপ-৪-এ এখনো শীর্ষে থাকার আশা টিকিয়ে রাখল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ পর ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্পেন। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচে অপর দল ক্রোয়েশিয়ার সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট।
দুই দলের জন্য মর্যাদা রক্ষার রাত ছিল সোমবার। বিশেষ করে দুই দলের দুই কোচের সামনে ছিল ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১০২ দিন পর গোল পেয়েছেন স্টার্লিং, ১৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়া থেকেও যা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি।
২২ মিনিট পর স্টার্লিং নিজের দ্বিতীয় গোল পেলে তা নিজের অনুভূতিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। সাউথগেট বলেছেন, ‘একটি বিষয় এখানে আমি বলতে চাই যে ম্যাচে প্রথম গোল করার পর তার মধ্যে আরো গোলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। সে কাজটা দ্রুতই করতে পেরেছে।’
সবশেষ ১৯৮৭ সালে স্পেনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে হতাশ স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘স্পষ্টভাবেই এটা আমাদের রাত ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে আমরা বেশ কয়েকটি ভুল করেছি। তাদের গোলগুলো যেখানে ওষুধের মতো কাজ করেছে সেটাই আমাদের জন্য বিষ ছিল।’
