• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রুনির কান্নাভেজা বিদায়

রুনি

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

রুনির কান্নাভেজা বিদায়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৮

২০০৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন ওয়েন রুনি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজ পারফরম্যান্সে একসময় আর্মব্যান্ডটাও তুলে নেন হাতে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এ অধিনায়ক বৃহস্পতিবার বিদায় জানালেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলা বিদায়ী ম্যাচে ওয়েন রুনির দল জয় পেয়েছে ৩-০ গোলের। দারুণ এ জয়ের পরও ১৫ বছরের প্রিয় সবুজ জমিনকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখের জলে ভাসিয়েছেন বুক। প্রিয় তারকার চোখে জল দেখে ভক্তরাও কেঁদেছেন অঝোরে।

১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ১২০ ম্যাচ খেলে রেকর্ড ৫৩টি গোল করেন তিনি। বিদায়ী ম্যাচটি ৩৩ মিনিট খেলে মাঠ ছাড়েন। এদিন কোনো গোলের দেখা পাননি ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ এ গোলদাতা। ওয়েম্বলিতে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পান জেসে লিনগার্ড (১-০)। ২৫তম মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দুই মিনিটের ব্যবধানে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড (২-০)। তাতেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংলিশরা। প্রথমার্ধে মাঠে ছিলেন না রুনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে লিনগার্ডের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রুনি। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড বাঁধেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে কালাম উইলসনের গোলে ৩-০ তে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তাতের ৩-০ ব্যবধানের জয় পেয়ে যায় ইংলিশরা।

ইংলিশ জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেওয়ার উদ্দেশ্যেই রাখা হয়েছিল এই ম্যাচে। ম্যাচের আগে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ)। তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। দুই দলের খেলোয়াড়রা গার্ড অব অনার দেন তাকে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের পর প্রথম বছরে তিন গোল করেছিলেন রুনী। এরপর থেকেই শুরু। মূলত অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার সময়ই জাতীয় দলের নির্বাচকদের চোখে পড়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads