সেই ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলে ৩২ দল অংশ নিচ্ছে। এই সংখ্যা ২০২৬ সালের আসরে ৪৮-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা দীর্ঘদিন থেকেই করছে ফিফা। কিন্তু এবার চার বছর আগেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই অবশ্য এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছে, কাতার বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের। এতদিন এই নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি আয়োজক কমিটি। কিন্তু এবার ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানালেন, কাতারে অনুষ্ঠেয় ২০২২ বিশ্বকাপেই ৪৮ দলের অংশগ্রহণ দেখা যেতে পারে। এ কথা অবশ্য তিনি আগেও বলেছেন।
কিন্তু ফিফা সভাপতির এই বক্তব্যে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কেননা, কাতারের নতুন অবকাঠামো ও বিশ্বকাপের জন্য নির্মীয়মাণ স্টেডিয়াম তো ৩২ দলের কথা ভেবেই। সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। যদি কাতার বিশ্বকাপ ৪৮ দলের হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে কিছু ম্যাচ সরিয়ে নিতে হতে পারে।
মরক্কোর শহর মারাকেচে ফিফার এক সভায় ইনফান্তিনো বলেন, ‘কাতারিরা এই (৪৮ দলের বিশ্বকাপ) আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে। তারা এটা নিয়ে ইতিবাচক। ফেডারেশনের প্রায় সবাই এটাকে সাপোর্ট করছেন। তবে আপনাকে এটা দেখতে হবে যে, সাংগঠনিক পর্যায়ে এর সম্ভাব্যতা কতটা। অবশ্যই, শুধু কাতারে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের সহায়তা নিতে হতে পারে।’
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে কাতারের রাজনৈতিক সম্পর্ক এখন তলানিতে। বিশেষ করে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখন একেবারেই শত্রুভাবাপন্ন। ২০১৭ সালের জুন থেকে সাবেক বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ ৬ আরব রাষ্ট্র কাতারের ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
এমন পরিস্থিতে পার্শ্ববর্তী দেশের সহায়তা কিভাবে পাবে কাতার, এই প্রশ্নের জবাবে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমরা ফুটবল নিয়ে আছি, রাজনীতি নয়। আমরা দেখব কি করা যায়।’
ফুটবল বিশ্বকাপের পাশাপাশি ক্লাব বিশ্বকাপকেও আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক করার আগ্রহের কথাও জানান ফিফা প্রধান। ‘আমরা এটাকেও (ক্লাব বিশ্বকাপ) সত্যিকার অর্থে বিশ্বকাপ বানাতে চাই, যেখানে সব মহাদেশ থেকে ২৪টি দল অংশ নেবে। সেরা ক্লাবের প্রায় সবই ইউরোপে অবস্থিত। কিন্তু আমাদের সারা পৃথিবী থেকেই দল প্রয়োজন।’
