• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শরীফের টার্গেট ক্ষুদে ফুটবলার

‘টাইগার শরীফ’

ছবি : সংগৃহীত

ফুটবল

শরীফের টার্গেট ক্ষুদে ফুটবলার

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে তিনি ‘টাইগার শরীফ’ নামে পরিচিত। খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে। ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডির মতো শীর্ষ ক্লাবে। ৩৮ বছরের এনামুল হক শরীফ জীবনের ১৯ বসন্তই কাটিয়েছেন ফুটবলে। খেলতে চেয়েছিলেন আরো দুই বছর। কিন্তু হঠাৎই বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন শরীফ। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি। এরপর তার টার্গেট ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করা। অবসরে যাওয়ার পর ভবিষ্যতের ফুটবলার গড়তে নিজের একাডেমি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান শরীফ। 

ক্যারিয়ারে পৃথক ২১টি শিরোপার স্বাদ নিয়েছেন শরীফ। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন সাত বছর। এর মধ্যে টানা খেলেছেন পাঁচ বছর। ২০১২ সালে জাতীয় দলে ফেরেন শরীফ। ওই বছরই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলার সময় ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় তার। এরপর দুই বছর ফুটবলের বাইরে ছিলেন শরীফ। ২০১৬ সালে ফের ডাক পান জাতীয় দলে। ওই বছরের শেষের দিকে বিদায় জানান জাতীয় দলকে। তবে চালিয়ে যান ঘরোয়া ফুটবলের খেলা।

ক্যারিয়ারে দীর্ঘ ১০ বছর ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলেছেন শরীফ। এ ছাড়া শেখ জামালের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন পাঁচ বছর। শেখ রাসেল স্পোর্টিং ক্লাবে এক বছর আর ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেন তিন বছর।

২০০০ সালে বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শরীফ পা রাখেন ঢাকায়। ওই বছর পাইওনিয়র খেলেন। বয়স তখন ১৮। মাদারটেক ক্লাবের হয়ে তার ফুটবল যাত্রা শুরু। প্রথম বছরই বাজিমাত করেন। ১৬ গোল করে জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। পরের বছর সিনিয়র ফুটবলে তার ক্যারিয়ার শুরু ভিক্টোরিয়ার হয়ে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। গত বছরের অক্টোবরে ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতি হিসেবে খেলেছেন আরামবাগের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই হাঁটুতে চোট পান তিনি, ছিটকে যান ফেডারেশন কাপ থেকে। স্বাধীনতা কাপে ফেরার চিন্তা থাকলেও পুরো ফিট না থাকায় খেলা হয়নি সেই আসরেও। লিগের আগে এমআরআই করে দেখেন ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করলে ঠিক হতে সময় লাগবে এক বছর। তাই হুট করেই অবসরের এই সিদ্ধান্ত।

শরীফ বলেন, ‘এক সময় আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। এখন এটা অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। তাই অনেকেই এখন ফুটবলার হতে চায় না। এর মধ্যেও যারা ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের উদ্দেশে আমার একটাই কথা। যা-ই করো মন-প্রাণ দিয়ে করো। ফুটবলে সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে ফিটনেস। তাই প্রত্যেক ফুটবলারের উচিত ফিটনেসের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা।’ তিনি বলেন, ‘অবসরের পর কী করব, তা নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনা নেই। এখন পরিবারকে সময় দিতে চাই। তবে যতদিন বেঁচে থাকব ফুটবলটাকে ধরে রাখব। কুমিল্লায় ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে আমার একটা একাডেমি রয়েছে। সেখানে ব্যস্ত থাকতে চাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads