চলছিল রিয়ালের দুরবস্থা। বরখাস্ত হলেন কোচ সোলারি। ফিরলেন জিনেদিন জিদান। শুরুটা হলো হাসিমুখেই। লা লিগায় জয় দিয়ে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জিদানের কোচিংয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ গোলে পরাজিত করেছে সেল্টা ডি ভিগোকে।
লিগে জিরোনার কাছে হারের ১০ দিন পর কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় রিয়াল। এর তিন দিন পর লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে আবারো হারে স্বাগতিক রিয়াল। আর বার্নাব্যুতে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের কাছে ৪-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় গত তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
মূলত টানা ওই ব্যর্থতাতেই সান্তিয়াগো সোলারির বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে গত রোববার লিগে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচের পর দিন আর্জেন্টাইন কোচকে ছাঁটাই করে প্রথম মেয়াদে আড়াই বছরে দলকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট নয়টি শিরোপা জেতানো জিদানকে দায়িত্বে ফেরায় রিয়াল।
দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরেই একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনেন জিদান। গোলরক্ষক কোর্তোয়ার বদলে সুযোগ পান কেইলর নাভাস। ফিরেন ইসকোর মতো সোলারির অধীনে অনিয়মিত হয়ে পড়া মার্সেলোও। এছাড়া ফিরেন গত সপ্তাহে রিয়াল ভায়াদোলিদের মাঠে ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচের একাদশে অনুপস্থিত রামোস ও বেল।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোলের প্রথম সেরা সুযোগটি পেয়েছিল লিগে নিজেদের শেষ ১১ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পাওয়া সেল্টা ভিগো। তবে ম্যাক্সি গোমেজের হেড দারুণভাবে এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন নাভাস। পরের মিনিটেই আরেকটি আক্রমণ ফিস্ট করে ফেরান কোস্টারিকার এই গোলরক্ষক। ২৭ মিনিটে টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শট ক্রসবার ঘেঁষে চলে যায়। তিন মিনিট পর বেলের ভলি ক্রসবারে বাধা পায়। কিছুক্ষণ পর রামোসের হেডও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের।
৬২ মিনিটে গোলের অপেক্ষা শেষ হয় রিয়ালের। দ্রুত এগিয়ে একজনকে কাটিয়ে মার্কো অ্যাসেনসিও ডি-বক্সে বাঁ দিকে পাস দেন। বল ধরে করিম বেনজেমা বাড়ান গোলমুখে, আর ছুটে গিয়ে ডান পায়ের টোকায় দলকে এগিয়ে দেন ইসকো।
৭৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেল। ২৮ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
