• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বসুন্ধরার ইতিহাস

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

বসুন্ধরার ইতিহাস

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ জুলাই ২০১৯

প্রথম আসরেই বাজিমাত। যা বেশ চমকপ্রদ। ইতিহাসও বটে। প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে অভিষেক আসরে কোনো ক্লাবের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড নেই। কিন্তু সেই রেকর্ড গড়ল এবার বসুন্ধরা কিংস। মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে ড্র করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সগৌরবে জানান দিল নবাগত দলটি। দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই বসুন্ধরা জিতেছে শিরোপা।

নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আগের দিন বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে দুই দলের মধ্যে লিগের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ মিনিট তিনেক চলার পর স্থগিত হয়ে যায়। গতকাল বাকি সময়ের খেলা হয় ১-১ ড্র হয়। আর তাই নিশ্চিত হয় শিরোপা।

আগের দিন চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে আবাহনী লিমিটেড ড্র করায় বসুন্ধরার সামনে সমীকরণ আরো সহজ হয়ে যায়। শিরোপা জিততে তিন ম্যাচে দরকার ছিল ১ পয়েন্টের। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় পয়েন্ট তুলে নেয় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সেরা হয়ে এবারই লিগে উঠে আসা দলটি।

এবারের লিগে বসুন্ধরার হোম ভেন্যু শেখ কামাল স্টেডিয়ামে ঝিরঝির বৃষ্টি উপেক্ষা করে আসা সমর্থকদের মন প্রথমার্ধে ভরাতে পারেনি বসুন্ধরা। লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে, দূরপাল্লার প্রচেষ্টায় হতাশ করতে থাকেন মার্কোস দি সিলভা, দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরারা।

১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহামেডান। তকলিস আহমেদের শট গোলরক্ষক ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফাঁকায় থাকা মালির ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন। ৩৫ মিনিটে জাহিদ হাসান এমিলির ক্রসে তকলিসের দুর্বল হেডে হয়নি ব্যবধান দ্বিগুণ।

৩৭ মিনিটে সমতার স্বস্তি ফেরে বসুন্ধরার শিবিরে। সোলেরার কর্নারে ছোট ডি-বক্সের মধ্যে থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ডি সিলভা (১-১) প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। শেষটা শিরোপা জয়ের উৎসব। বাঁধনহারা উল্লাসে মাতে বসুন্ধরা শিবির।

২০০৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে শিরোপা উৎসব হলো। শিরোপা জয়ের পথে এর আগে টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ে বসুন্ধরা। ২২ ম্যাচে ১৯ জয়, দুই ড্র ও হারে ৫৯ পয়েন্ট বসুন্ধরার; দলটির হাতে দুই ম্যাচ আছে, পয়েন্ট আরো বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। ২৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

চলতি লিগে এ পর্যন্ত বসুন্ধরাকে একমাত্র হারের স্বাদ দেয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দলটির প্রথম ড্র ছিল টিম বিজেএমসির সঙ্গে, গত ফেব্রুয়ারিতে।

২০১৬ সালে পাইওনিয়ার লিগ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে যাত্রা শুরু করা বসুন্ধরা প্রথমবারই তৃতীয় বিভাগে খেলার সুযোগ পেয়ে যায়। তবে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দ্বিতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ২০১৭ সালের আসরে খেলার সুযোগ দেয়। সেখানে সেরা হয়ে লিগে উঠে আসে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads