• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মেসি-দ্য বেস্ট

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

মেসি-দ্য বেস্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও ভার্জিল ফন ডাইককে হারিয়ে ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ জিতেছেন লিওনেল মেসি। মিলানে অপেরা হাউজ লা স্কালায় সোমবার রাতে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বার্সেলোনা তারকার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ক্যারিয়ারে এই নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

এর আগে সমান পাঁচবার করে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি ও রোনালদো। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এই দুজনের বাইরে আর কেউই পুরস্কারটি জিততে পারেননি। তাদের সেই আধিপত্য ভেঙে গতবার সেরা হন রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ। উয়েফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা- তিনটি পুরস্কারই ঘরে তুলেছিলেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মদ্রিচ।

কিন্তু এবার পাল্টে গেল চিত্র। এবারের উয়েফা বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছিলেন ফন ডাইক। আর ফিফার বর্ষসেরা হলেন মেসি। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ফিফার ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারটি এবারই প্রথম জিতলেন মেসি।

২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শুরুতে আলাদাভাবে দেওয়া হতো। সে বছর দুটিই জিতেছিলেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর দুটি পুরস্কার একীভূত হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জেতেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর পরের দুই বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবারো পুরস্কারটি জিতে নেন মেসি, জেতেন রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো।

পরে ২০১৬ সাল থেকে আবার আলাদাভাবে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার দুটি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর জেতেন রোনালদো। আর পরের বছর সবকটি পুরস্কার জিতেন লুকা মদ্রিচ।

পুরুষ বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে গত ৩১ জুলাই ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। তা থেকে গত ২ সেপ্টেম্বর তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের লড়াইয়েও ছিলেন এই তিনজন। তবে গত ২৯ অগাস্ট মেসি ও রোনালদোকে হারিয়ে প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে পুরস্কারটি জিতে নেন ডাচ সেন্টার-ব্যাক ফন ডাইক। লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই ডিফেন্ডারের ফিফার মঞ্চেও জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল। তবে অবাক করে দিয়ে বিজয়ী হিসেবে আর্জেন্টাইন তারকার নাম ঘোষণা হয়।

অবশ্য ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বরাবরের মতো গত মৌসুমেও তিনি ছিলেন অসাধারণ ও দারুণ ধারাবাহিক। বার্সেলোনার লা লিগা জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল মেসির। স্পেনের শীর্ষ লিগে সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করে একই সঙ্গে জিতে নেন পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।

আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও করেন সর্বোচ্চ ১২ গোল। তবে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায় নেয় বার্সেলোনা।

২০১৮-১৯ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে মোট ৫৪ গোল করেন মেসি। পাশাপাশি সতীর্থের ২০ গোলে রাখেন অবদান।

জাতীয় দলের হয়ে মৌসুমটা অবশ্য ভালো কাটেনি তার। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে যায় তার দেশ আর্জেন্টিনা। তবে ক্লাব ফুটবলে বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেই সেরার পুরস্কারটি জিতে নিলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।

গতবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ছিলেন না মেসি। লড়াইয়ে ছিলেন রোনালদো, মদ্রিচ ও মোহামেদ সালাহ। লিভারপুলের ফরোয়ার্ড সালাহর চেয়ে মৌসুমে বেশি গোল করেছিলেন, বার্সেলোনার হয়ে জিতেছিলেন লা লিগা ও কোপা দেল রে। তারপরও সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির না থাকাটা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। এবার তার বর্ষসেরা পুরস্কারটি জেতা অতবড় প্রশ্নের জন্ম না দিলেও বিস্ময়ের তো বটেই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads