করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে প্রায় সব দেশের ফুটবল লিগ স্থগিত হয়ে গেলেও এখনও খেলা চলছে আর্জেন্টিনায়। আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচগুলোর আবহটাই অন্যরকম। বিশেষ করে ম্যাচগুলো যদি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে।
হাজার হাজার মানুষ প্রিয় দলের জার্সি পরে খেলা দেখতে এসে চিৎকার করে যায় গোটা নব্বই মিনিট। ফুটবল নিয়ে দেশটার মানুষদের উন্মাদনা এমনই। কিন্তু বিশ্ব যেখানে করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে, সেখানে কী আর ফুটবলের উন্মাদনা চালানো যায়?
এদিকে, নাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালির অবস্থান ওপরের দিকে। সে ম্যাচটা খেলে আসার পর থেকে ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের শতকরা ৩৫ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দলটার তিন ডিফেন্ডার এজেকিয়েল গারাই, এলিয়াকুইম মাঙ্গালা ও হোসে লুইস গায়া।
ভ্যালেন্সিয়ার দুরবস্থা শুনে আটালান্টার খেলোয়াড়েরাও চলে গেছেন কোয়ারেন্টিনে। রিয়াল মাদ্রিদের বাস্কেটবল দলও এমন দর্শকহীন কোর্টে খেলতে গিয়েছিল মিলানে। ঠিকই তাদের এক খেলোয়াড় করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু বাস্কেটবল নয়, ফুটবল দলকেও কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে এতে। ফলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বন্ধ স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলে লাভ হলো কোথায়?
করোনাভাইরাস থেকে আর্জেন্টিনা যে একেবারে মুক্ত, তা কিন্তু না। এর মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জনের মতো, মারা গেছেন দুজন। সেসবে আর্জেন্টিনার ভ্রুক্ষেপ করছেনা। লিওনেল মেসির দেশে এই সপ্তাহেও লিগের ম্যাচ চলেছে। বোকা জুনিয়র্স ৪-১ গোলে হারিয়েছে গদয় ক্রুজকে, সান লরেঞ্জো ৩-১ গোলে জিতেছে পাত্রোনাতোর বিপক্ষে। রেসিং ক্লাব ও আলদোসিভির ম্যাচটা শেষ হয়েছে ৪-৩ গোলে। এদের মধ্যেই ব্যতিক্রম সেখানকার রিভার প্লেট। নিজেদের স্কোয়াডের একজন খেলোয়াড় থমাস গুতিয়েরেজের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে দেখে স্টেডিয়ামে তালা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে গেছে সবাই।