• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কোয়ারেন্টাইন না মানায় দেশের সরকারের ক্ষোভে রিয়াল তারকা 

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

কোয়ারেন্টাইন না মানায় দেশের সরকারের ক্ষোভে রিয়াল তারকা  

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০২০

বেশ ঝামেলায়ই পড়েছেন সার্বিয়ান ফুটবলার ইয়োভিচ। করোনার মধ্যেও সরকারের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে মাদ্রিদ ছেড়ে নিজ দেশে সার্বিয়ায় ফিরেছেন ইয়োভিচ। গিয়ে সেখানেও কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভেঙেছেন, তাঁকে দেখা গেছে রাজধানী বেলগ্রেডের রাস্তায়। আর তাতেই দেশের সংবাদমাধ্যম তো বটেই, সরকারের রোষেই পড়েছেন ইয়োভিচ!

ক্লাবের বাস্কেটবল তারকা ট্রে টমকিনস করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কি বাস্কেটবল, কি ফুটবল। ক্লাবের সব দলের খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

কারও শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, সে পরীক্ষাও হয়েছে। এর মধ্যেই ক্লাবের অনুমতি নিয়ে দেশে উড়াল দিয়েছিলেন ইয়োভিচ। কিন্তু সেখানে ফিরেই ঝামেলাটা বাঁধিয়েছেন।

যেসব দেশে করোনা আক্রান্ত, সেসব দেশ থেকে কাউকে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করেছিল সার্বিয়ার সরকার। তা না মেনে দেশে ফিরেছেন বটে ইয়োভিচ।  কিন্তু তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকবেন ধারণা করা হলেও কোয়ারেন্টা্ইন ভেঙে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার।

দেশটির ব্লিক নামের একটি  পত্রিকা লিখেছে, বান্ধবী সোফিয়া মিলেসোভিচের জন্মদিন পালন করতেই কোয়ারেন্টিন ভেঙে বেরিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন ইয়োভিচ।

স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানাচ্ছে, এই খবর সত্যি হলে রিয়াল মাদ্রিদের দিক থেকেও শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন ইয়োভিচ। তার আগে অবশ্য নিজে দেশেই রোষের মুখে তিনি।

দেশটির রাষ্ট্রপতি আলেক্সান্দার ভুসিচ তো আরও খ্যাপা, ‘ও নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরোলেই ওকে গ্রেপ্তার করা হবে। আমার মনে হয়, যা করেছে সেটির জন্য ও নিজেই এখন অনুতাপ করে। তবে আমি ওর কাছে এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ওর মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থের চেয়ে আমার দেশের মানুষের জীবন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

কোয়ারেন্টিন ভেঙে তাঁর বাড়ির বাইরে বেরোনোর খবর প্রকাশের পর অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন ইয়োভিচ।

তাতে অবশ্য একটু খোঁচা রেখে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে সবার আলোচনার কেন্দ্রে আছি বলে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি দুঃখিত, তবে বলতে হচ্ছে এই সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চেয়ে আমাকে নিয়েই বেশি মাতামাতি হচ্ছে।’

দুঃখিত, তবে অনেকেই নিজেদের কাজটা পেশাদারভাবে করছে না। আইসোলেশনের সময়ে আমার কী কী করা উচিত সে ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা আমাকে দেননি তাঁরা।’ শেষ কথাগুলোকে উল্টো সার্বিয়ান সরকারের প্রতি খোঁচা হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads