• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

ফিফার বর্ষসেরা লেভানদভস্কি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিকে হারিয়ে ২০২০ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। ২০১৯-২০ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ হলেন বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ড।

সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল হলেও ৩২ বছর বয়সি তারকার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

ফুটবল বিশ্বের সব জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, বিশ্বজুড়ে ফিফা নির্বাচিত সাংবাদিক ও ফিফা ডটকমে নিবন্ধন করা ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়েছে।

গত বছরের ২০ জুলাই থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় গত ২৫ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বেছে নেওয়া ১১ জনের তালিকা প্রকাশ করে ফিফা। এরপর গত শুক্রবার সংক্ষিপ্ত তালিকা তিন জনে নামিয়ে আনা হয়।

গত ১ অক্টোবর মানুয়েল নয়ার ও কেভিন ডে ব্রুইনেকে হারিয়ে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা লেভানদোভস্কির গত মৌসুমটা কেটেছে অসাধারণ।

বায়ার্নের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল লেভানদভস্কির। আসরে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেন পোলিশ এই ফরোয়ার্ড। দলটির বুন্ডেসলিগা ও জার্মান কাপ জয়েও বড় অবদান ছিল তার। সব প্রতিযোগিতা মিলে গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল করেন ৩২ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার।

সব প্রতিযোগিতা মিলে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে গত মৌসুমে ১৬টি গোল বেশি করেন লেভানদোভস্কি।

এই গোল মেশিন এবারও ছুটছেন তেমনই ছন্দে। বুন্ডেসলিগার এ মৌসুমে ১১ রাউন্ড শেষে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষেই আছেন তিনি। গত ৪ অক্টোবর লিগে হের্টা বার্লিনের বিপক্ষে বায়ার্নের ৪-৩ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয়ে দলের চারটি গোলই করেছিলেন লেভানদোভস্কি।

রেকর্ড ছয়বার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন মেসি। আর রোনালদো জিতেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এই দুজনের বাইরে আর কেউই বর্ষসেরার পুরস্কার জিততে পারেননি। 

তাদের সেই আধিপত্য ভেঙে ২০১৮ সালের সেরা হন রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ। ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা-দুটি পুরস্কারই ঘরে তুলেছিলেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মদ্রিচ।

ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শুরুতে আলাদাভাবে দেওয়া হতো। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর দুটি পুরস্কার একীভূত হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জিতেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর পরের দুই বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবারও পুরস্কারটি জিতে নেন মেসি।

২০১৬ সাল থেকে আবার আলাদাভাবে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার দুটি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর জিতেন রোনালদো। পরের বছর সবকটি পুরস্কার মদ্রিচ জেতার পর গত বছর ব্যালন ডি’অর জেতার পর প্রথমবারের মতো ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জেতেন মেসি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ বছরের ফুটবলে কোনো কিছুই স্বাভাবিক হয়নি। আর এ কারণেই ব্যালন ডি’অরের ৬৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ বছরের পুরস্কারটির দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ‘ফ্রান্স ফুটবল’-ম্যাগাজিন।

 

গত দশবারের বিজয়ীরা

২০১০, ২০১১, ২০১২ সালে লিওনেল মেসি, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ২০১৫ সালে লিওনেল মেসি,  ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ,  ২০১৯ সালে লিওনেল মেসি এবং ২০২০ সালে রবের্ত লেভানদভস্কি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads