• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নদীর নাম সোমেশ্বরী

সোমেশ্বরী নদী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ভ্রমণ

নদীর নাম সোমেশ্বরী

  • প্রকাশিত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আমরা বৈশাখের ছুটিতে সোমেশ্বরী নদী দেখতে গিয়েছিলাম। সোমেশ্বরী নদী সুসং দুর্গাপুর শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা পাহাড়ি নদী। গারো পাহাড়ে জন্ম নেওয়া এ নদীতে বর্ষা ছাড়া অন্য মৌসুমে নদীর তল পর্যন্ত দেখা যায়। এ নদীতে নৌভ্রমণ এখনো পর্যটকবান্ধব হয়ে ওঠেনি। অল্প পানিতে চলাচল উপযোগী নৌকা পাওয়া যায় না, তাই বর্ষাকাল ছাড়া নৌভ্রমণ দুষ্কর। বর্ষাকালে নুড়ি ও বালুবাহী নৌকাগুলো নৌভ্রমণের জন্য ব্যবহূত হয়। ঘোলা পানিতে নৌভ্রমণে সোমেশ্বরীর আগ্রাসী রূপটা দেখা যায়, রমণীয় রূপ অধরাই থাকে। চোরাবালির জন্য এ নদীর কুখ্যাতি আছে। নিশ্চিত থাকুন, এ নদীর কোনো চোরাবালিই এক হাঁটুর বেশি গভীর নয়। তাই সোমেশ্বরীতে নিশ্চিন্তে নামা যায়।

সোমেশ্বরীর জন্ম ভারতে। উৎস থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত এ নদীর দূরত্ব টেনে-টুনে ২ কিলোমিটার।

সোমেশ্বরী নদী বাংলাদেশে রানীখং পাহাড়ের পাশ বেয়ে বরাবর শিবগঞ্জ বাজারের কাছ দিয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে ধনু নদীর সঙ্গে মিলেছে। রানীখং থেকে ধনু নদী পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭ কিলোমিটার। সোমেশ্বরীর এক সময়ের এই মূলধারা এখন প্রায় বিলুপ্ত, বর্ষা ছাড়া অন্য কোনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ থাকে না। ১৯৬২ সালে পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী শিবগঞ্জ ঢালা থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে নতুন গতিপথের সৃষ্টি করে, যা বর্তমানে সোমেশ্বরীর মূল স্রোতধারা হিসেবে পরিচিত। এই স্রোতধারা প্রায় ২৭ কিলোমিটার পেরিয়ে কংশ নদীতে পড়েছে। ১৯৮৮ সালে পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী আরেকটি নতুন নদীর জন্ম দিয়েছে, নাম আত্রাখালি নদী।

সোমেশ্বরী নদীর আদি নাম সিমসাং। সোমেশ্বর পাঠক নামে এক সিদ্ধপুরুষের নাম অনুসারে পরে নদীটি সোমেশ্বরী নামে পরিচিতি পায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads