• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার: পর্যটন সচিব

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক

সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণ

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার: পর্যটন সচিব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০১৯

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগের দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের।

সচিব বলেন, আমাদের যে সমস্ত পর্যটন স্পট আছে তা এখনও দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে পূর্ণরূপে তুলে ধরা যায়নি। আমাদের পর্যটন স্পটগুলোকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমাদের সমস্ত অংশীদারদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের অন্যতম পর্যটন স্পট বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন কে নিয়ে আমরা বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। তার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় বেসরকারি খাতকে নিয়ে একত্রে কাজ করবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজার আমাদের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করা যায়নি এখনো। এখনও কোনো পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে গেলে সমুদ্র দেখা ছাড়া তার আর কিছু করণীয় থাকে না। এই সমস্যা দূর করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার পাশের সমস্ত অঞ্চলকে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করেছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথায সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও কক্সবাজারে আমাদের পর্যটকদের বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের বিনোদনের সমস্ত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, বান্দরবান রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাতে পর্যটন বিকাশে বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই তিন পাহাড়ি জেলাকে পর্যটনবান্ধব করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই জেলা তিনটির পাহাড়, নদী এবং লেকের যে সৌন্দর্য তা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবার কাছে আকর্ষণীয় উপজাতীয় সংস্কৃতিকে পর্যটকদের কাছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার ব্যবস্থা থাকবে সেই পরিকল্পনায়।

সচিব বলেন, আমাদের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক যেসব পর্যটন স্থাপনা রয়েছে তাতে পর্যটকদের সব সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের যে সম্পদ রয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযথ প্রচার' নিশ্চিত করতে হবে। প্রচার ছাড়া আমাদের আমাদের পর্যটন শিল্পকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের নিকট যথাযথভাবে উপস্থাপন সম্ভব নয়। তিনি সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সব বেসরকারি সংস্থাকে ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads