• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
'১০ বছরে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ বাড়বে'

"বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদান" শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণ

'১০ বছরে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ বাড়বে'

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০১৯

আগামী দশ বছরে দেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বেড়ে দ্বিগুণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।  তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৮৩ বিলিয়ন টাকা। যা ২০২৮ সালে ১৬১ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ আয়োজিত "বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদান" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের বিকাশে আমাদের তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য ব্যাংকিং সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। পর্যটন সম্পর্কিত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য তরুণ ও নবীন উদ্যোক্তাদের ব্যাংক সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে তারা উপকৃত হবে।

মাহবুব আলী বলেন, গত ১০ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধিও সঙ্গে সঙ্গেতা আরো দৃঢ় হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাত আগের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। এখন সময় এসেছে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করার। বিভিন্ন পর্যটন স্পটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদান করতে পারে। দেশীয় পর্যটকদের জন্য সহজ শর্তে পর্যটন ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে যাতে তারা ঘুরে এসে ইনস্টলমেন্টের মাধ্যমে সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ২০১০ সালে এ ঋণ চালু করে বর্তমানে এর সুফল ভোগ করছে। দেশে বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য ট্রাভেলার্স চেক/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার আরো সহজীকরণ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা ভ্রমণ করতে আরো বেশি উৎসাহিত  হবেন।

তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের পর্যটনে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করতে পারে। আমাদের বীমা কোম্পানিগুলো পর্যটকদের সুবিধার জন্য পর্যটক বীমা চালু করতে পারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের পর্যটন বিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার জন্য আমি তাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মাহবুব আলী আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালে রয়েছে। ইউএনডিপি’র এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানব উন্নয়নের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০ কোটি ৫৬ লাখ লোক এখন কর্মক্ষম। আরো আনন্দের বিষয় এই যে, আমাদের ২ কোটি ৮ লাখ কর্মক্ষম তরুণ রয়েছে যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক বড় সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে তরুণদের এই শক্তি কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। পর্যটন একটি শ্রমঘন শিল্প হাওয়াতে এখানে তরুণদের ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এ খাতে কর্মসৃজনের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের পাশে আমাদের াঁড়াতে হবে। পর্যটনের বিকাশে প্রতিষ্টিত উদ্যোক্তারে পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিতে হবে। উৎসাহিত করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোয়েব-উর- রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুজিব উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আফজাল হোসেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads