• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ভ্রমণ

ভুটান ভ্রমণের আদ্যোপান্ত

  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শাহাবুদ্দীন শরীফ

 

 

ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে। ভালোলাগার অন্যতম কারণ ছিল ঘুরতে গেলে পড়া লাগে না, স্কুলে ফাঁকি দেওয়া যায়। যখন বাসা থেকে একা এদিক-সেদিক যাওয়ার ব্যাপারে বাধা দেওয়া বন্ধ করে দিল, এরপর থেকেই দেশের এদিক-সেদিক ঘুরেছি, ঘুরছি। ফটোগ্রাফি করার সুবাদে দেশীয় সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিদেশি অনেক সুন্দরের প্রতি আমার দুর্বলতা আজীবনের, স্বপ্ন দেখি সেসব পদার্পণের, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভুটান। এ দেশটি আমার কাছে অধরা মনে হতো, মনে হতো আরাধ্য। অনেককে যেতে দেখতাম, কিন্তু নিজে যাব সেটি ভাবতে পারতাম না কেন জানি।

পরে কাছের অনেককে যেতে দেখে মনে আপনা-আপনি সাহস জমা হতে শুরু করল। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রাহুল, কলেজজীবন থেকে আমরা বন্ধু। সিকিম থেকে ফিরে আমি তাকে বলে রেখেছিলাম অদূর ভবিষ্যতে কখনো ভুটান যাওয়া হলে যেন আমাকে নিয়ে যায়। বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না। রাহুল জানাল, খুব শিগগিরই যাওয়া হবে, যেন প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। গত সপ্তাহে সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রওনা দিলাম, ঢাকা থেকে ওইদিন রাত ৯টায় বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা বর্ডারের বাস। বাস কাউন্টারে আমার একটু দেরি করে পৌঁছানোর বাতিক আছে, চট্টগ্রাম আর ঢাকার দুটি বাস কাউন্টারেই রাহুল আমার আগে পৌঁছে আমার জন্য বাস আটকে রেখেছিল।

ঢাকার কল্যাণপুর থেকে বাস ছাড়ল। বাস আর সিট দেখে নিজের জন্য মায়া হলো। ভোর ঠিক ৫টায় বর্ডারে পৌঁছালাম। ইমিগ্রেশন শুরু হবে ৯টার পর। ধরেই নিলাম ইমিগ্রেশনে আজকে সময় লাগবে অনেক। কিন্তু টাকা দানের সঠিক ফাঁকফোকর না চেনার কারণে, বাংলাদেশ বর্ডারের ইমিগ্রেশন সেই সময়টাকে ৮ ঘণ্টারও বেশিতে উপনীত করবে, আগের রাতে বাসে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেও ভাবিনি। অতএব বিকাল ৪টার দিকে আমরা বাংলাদেশ বর্ডার পার হলাম।

ভারত ইমিগ্রেশনে বড়জোর ২ ঘণ্টা লেগেছে আমাদের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে। এত সময়ও লাগত না যদি ঈদের ভিড় না থাকত। মোটামুটি গরমে আমরা ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। ভারত ইমিগ্রেশনের কিছু কর্মী নিরলসভাবে শরবত বানিয়ে খাওয়াচ্ছিল সবাইকে।

আগে থেকে রিজার্ভ করা ২০ সিটের ভুটানি বাস আমাদের জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিল। দীর্ঘ ৮-১০ ঘণ্টার হয়রানির পর আমরা মোটামুটি সবাই আধমরা অবস্থায় ছিলাম, ভুটানি গাইড, সুন্দর চেহারার ল্যুম থাং আর সুঠাম দেহের অধিকারী ভুটানি ড্রাইভারকে দেখে আমাদের মাঝে উদ্দীপনা কিছুটা ফিরে এলো, মনে হলো অর্ধেক ভুটান দেখা হয়ে গেল।

পশ্চিমবঙ্গের প্রশস্ত রাস্তা ধরে আমাদের বাস ছুটে চলল, গন্তব্য ভারত-ভুটান বর্ডার শহর জয়গাও। দুই পাশে বিস্তীর্ণ সবুজ জমিন, কাশবন এবং তারও পরে সম্ভবত দেখতে পাচ্ছিলাম ভুটানের পাহাড় চূড়া, আবছাভাবে। যতই আমরা জয়গাওয়ের কাছাকাছি হচ্ছিলাম, পাহাড়গুলো দূরে সরতে সরতে হারিয়ে যাচ্ছিল, সম্ভবত পরদিন খুব কাছ থেকে ধরা দেবে বলেই। আমাদের পরিকল্পনায় ছিল সেদিনই ভুটান প্রবেশ করে তার শহর পারোতে পৌঁছানার। কিন্তু বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের এমন কাণ্ডের পর সেদিনের মতো আমাদের জন্য ভুটান গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

জয়গাও/ফুন্টসলিং

মোটামুটি রাত ৮টার আশপাশ সময়ে আমরা জয়গাও পৌঁছাই। সেদিন ভুটান প্রবেশ করতে পারব না জেনে স্বল্প নোটিশে জয়গাওতে সুন্দর আর গোছানো একটি হোটেল ব্যবস্থা করা হলো, হোটেল কস্তুরী। রাতটা এখানে কাটিয়েই সকালে ভুটান প্রবেশ করব আমরা, বজ্র ড্রাগনের দেশে, স্বপ্নরাজ্যে। রুমে কস্তুরীতে ব্যাগ-পাটেরা রেখে বের হলাম রাতের খাবারের খোঁজে। এখানে রাত ৯টায় সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, সম্ভবত তার কারণ অতি মুনাফার লোভে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবসা করা থেকেও পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার স্পৃহা। এবং পরে এক দোকানদারের কাছে সে কথার প্রমাণও পেয়েছিলাম। ট্যুরমেটদের সঙ্গে তেমন পরিচয় কিংবা সখ্য গড়ে ওঠেনি তখনো। পরবর্তী সময়ে তারেকসহ ইমাম, শাহীন আর নিপু, আমরা হয়ে উঠি ভালো বন্ধু। পরদিন সকালে উঠেই ভারত ইমিগ্রেশন অফিস থেকে ডিপার্চার সিল নিয়ে ভুটানের গেট পার হয়েই বর্ডার শহর ফুন্টসলিংয়ের ভুটান ইমিগ্রেশন অফিস থেকে ভুটান ভ্রমণের অনুমতি কিংবা ভিসা নিয়ে আবার ভারতের জয়গাও ফিরে আসি। এক বৃদ্ধের হোটেলে সকালের নাশতা করতে গেলাম। তার হোটেলে পাওয়া যায় রুটি আর সঙ্গে খাওয়ার জন্য ২-৩ রকমের তরকারি। আপনি যদি রুটি অর্ডার করেন, সঙ্গে তরকারির প্রতিটি আইটেম আসে রুটির সঙ্গে কমপ্লিমেন্টারি, ভাবুন তো রুটির দাম কত? মাত্র পাঁচ রুপি।

সকালের খাওয়ার পর্ব সেরে আমরা হোটেল রুমে ফিরে এসে ব্যাগপত্র নিয়ে বের হলাম, নিচেই আমাদের বাস অপেক্ষায় ছিল, এবার বাসের ড্রাইভার পরিবর্তন হলো, ড্রাইভার হিসেবে আমাদের সঙ্গে যোগ দিল আরুন, এখন থেকে সে-ই সামনের ৭-৮ দিন আমাদের সঙ্গে থাকবে, নিয়ে যাবে শহর থেকে শহরে, ভ্যালি থেকে পাহাড়ে।

পাহাড়ের পথ আঁকাবাঁকা হয় সেসব আপনারা জানেন, সেই পথ ধরে এগিয়ে যেতে লাগলাম আমরা, রাস্তা কখনো নিচু আর কখনো খাড়া। ৩-৪ ঘণ্টা পর পথে যাত্রাবিরতি হলো, থামলাম একটি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটি বানানো হয়েছে পাহাড়ের একদম কিনারায়। যাক, দুপুরেরও অনেক পরে আমরা পাহাডের রানী ভুটানের শহর পারোতে পৌঁছালাম, আগে থেকেই ভুটানের খাওয়া নিয়ে আমাদের টেনশন থাকাতে পারোতে লাঞ্চটাইমে অপরিচিত নামে কোনো মেন্যু অর্ডার করলাম না, যেসব মেন্যুর আগে-পরে পরিচিত শব্দ ছিল, সেসব দিয়ে লাঞ্চ সারলাম।

পারো

পারো ভুটানের প্রথম সারির শহর, তার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম হলো পারো এয়ারপোর্ট, চেলালা পাস এবং বিখ্যাত টাইগার নেস্ট। পৃথিবীর ভয়ংকর কয়েকটি এয়ারপোর্টের মধ্যে এটি অন্যতম। লেট লাঞ্চ সেরে আমরা পারোর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী আর শহরটা একটু ঘুরে দেখে রওনা দিলাম। গন্তব্য এবার হা ভ্যালি। পথে উঁচু রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পারো এয়ারপোর্ট দেখে নিলাম, সন্ধ্যা হয়ে গেলে এই এয়ারপোর্টে আর ফ্লাইট ওঠানামা করে না, তাই ভয়ংকর এই এয়ারপোর্টের বিমান ওঠানামা দেখা মিস হলো আমাদের। পথেই রাত নামলে রাতের চেলালা পাস দেখতে থামলাম আমরা, বাস থেকে বের হতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস শীতের রাতে ফিরিয়ে নিল আমাদের, কাঁথা না থাকায় জ্যাকেট মুড়ি দিয়ে আবার বাসে উঠে গেলাম। রাত ৭-৮টায় পৌঁছালাম হা ভ্যালি।

হা ভ্যালি

আগে থেকে বুকড রিসোর্টে থামল বাস, বাস থেকে নামার আগেই অনেক মেয়ের কণ্ঠের কলকাকলি শুনতে পেলাম। নেমেই দেখে ৬-৭টা মেয়ে আমাদের লাগেজ নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে, ভয় পেলেও সাহস না হারিয়ে সামনে গেলাম, জানতে পারলাম তারা সবাই এই রিসোর্টের স্টাফ। ভুটানের মানুষ অতিথিপরায়ণ আর বন্ধুসুলভ হওয়াতে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কাটল সময়। হোটেলের দ্বিতীয়তলার বারান্দা থেকে দূরের হা ভ্যালির শহরে তারার মতো অসংখ্য বাতি দেখা ছাড়া রাতে আর হা ভ্যালির সৌন্দর্য উপভোগ না গেলেও রাতটা কেটেছে জম্পেশ। সারা দিনের জার্নিতে একটু কাহিল আমি সবার আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম। মধ্য রাতে ঘুম ভাঙল উচ্চস্বরের গানের শব্দে। ট্যুরমেটরা ইতোমধ্যেই বাজনার তালে এই বরফ জমা ঠান্ডার মাঝেও গানের আসর গরম করে ফেলেছে। যোগ দিলাম আসরে। অনেকক্ষণ গানে গলা মিলিয়ে ভোর রাতে ঘুমিয়ে পড়ে মোটামুটি সকালেই উঠলাম সবাই। সকালে হা ভ্যালি আর আমাদের রিসোর্টের সৌন্দর্য দেখে হাঁ হয়ে যাওয়া মুখে গপাগপ গুঁজে দিলাম সকালের নাশতা। হা ভ্যালি শহর থেকে অনেক ওপরে বড় কয়েকটা পাহাড়ের নিচে আমাদের এই রিসোর্ট। সবাই বের হলাম হা ভ্যালি ঘুরে দেখতে, নিচের পাথুরে নদীর পাড় ধরে হেঁটে গেলাম আর্মি ক্যাম্পের গলফ মাঠে, এই মাঠ যেন সুউচ্চ পাহাড় থেকে বয়ে নামা এক সবুজ গালিচা। অনেকক্ষণ এখানে ঘুরে আমরা বাসে চড়ে গেলাম হা ভ্যালির পাশে হোয়াইট টেম্পল জং বা মনস্ট্রিতে, মনস্ট্রি বা জং হলো ভুটানিজদের প্রার্থনার স্থান বা মন্দির বলতে পারেন, ভুটানের বাড়িঘরের মতোই এই জংগুলোর নির্মাণশৈলী সত্যিই অপূর্ব। দুপুর নাগাদ জং ঘুরে আমরা রিসোর্টে ফিরে এলাম, সেই ৬-৭ জন অপূর্ব মেয়েদের আতিথেয়তায় সেরে নিলাম লাঞ্চ। এবার হা ভ্যালি ছেড়ে যাওয়ার পালা, হাতের কাছে একটি দেশের ফিল্ম স্টারকে (ওদের চোখে) কাছে পেয়ে এত অল্প সময়ে তাকে বিদায় জানাতে তাদের মন ভারী হচ্ছিল বুঝতে পেরে আবার আসার আশ্বাস দিয়ে চোখের জল আড়াল করে বিদায় নিলাম। পথে আমরা কাল রাতের আধেক রেখে যাওয়া চেলেলা পাসে থামলাম, রাতের মতো এত ঠান্ডা না হলেও ঠান্ডা ঠিকই কাবু করল আমাদের। এই চেলালা পাসের ওপর দিয়ে পাহাড় কেটে যাওয়া রাস্তা ভুটানের সর্বোচ্চ রাস্তা হিসেবে স্বীকৃত। কোনো জায়গায় ছবি তোলা মিস না করার রেকর্ড গড়তে এখানেও প্রচুর ছবি তুললাম আমরা। বাকি দিনের জন্য ক্যামেরায় স্পেস রেখে এদিনের মতো ক্ষ্যান্ত দিয়ে বাসে উঠলাম, যাত্রা এবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশে। পাহাড়ের রাস্তা আঁকাবাঁকা, সে কথা বারবার বলে বিরক্ত না করতে চাইলেও আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়েই আমরা রাতের প্রথম প্রহরে থিম্পু পৌঁছালাম।

থিম্পু

যথারীতি আগের বুকড করা রিসোর্টে পৌঁছেই তো আমরা থ, এটি কোনো রিসোর্ট নয়, পাহাড়ের ওপর কোনো শিল্পীর নিজের জীবনের সব শিল্পসত্তা ঢেলে দিয়ে বানানো একটি স্বপ্ন মহল যেন। কাঠ আর কংক্রিটের মিশেলে ডুপ্লেক্স একটি বাংলো। সুন্দরী গাকি এবং তার পরিবারের এই শিল্পে তারা থাকার পাশাপাশি পেয়িং গেস্ট হিসেবে আমাদের রাত্রিযাপনের জায়গা হয়েছে এখানে। এই বাংলোর সামনের দিকের প্রতিটি প্যানারোমা জানালা দিয়ে উপভোগ করা যায় অনেক নিচের থিম্পু শহরের রাতের রূপ। তবুও এত দূর থেকে থিম্পু দেখে মন না ভরাতে সিদ্ধান্ত হলো ডিনারের পরে আমরা শহরে যাব। ভুটানের রাস্তাগুলো বড় বড় পাহাড়গুলোতে ৩৬০ ডিগ্রিতে কেটে কেটে বানানো, যার কারণে গাড়িগুলোর একটি পাহাড় পার হতেই লেগে যায় অনেক সময়। আমাদের রাতে বের হওয়ার উদ্দেশ্য হলো, রাতের থিম্পু দেখা আর নাইটক্লাবে উঁকি দেওয়া, শহরে গিয়ে জানতে পারলাম সেদিন ক্লাব সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। কক্সবাজারের প্ল্যান করে শেষে যেতে না পেয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র ভ্রমণ টাইপ একটি ক্লাবে গেলাম আমরা। ভ্রমণসঙ্গী ইমামের মতে, সে রাতে আমরা কিছু স্কুল বাচ্চাদের নাচ দেখে অতঃপর বাংলোতে ফিরলাম, ফিরেই জমে উঠল গানের আসর। গান শেষে ঘুমাতে গেলাম। সকালে বের হলাম সাইড সিয়িংয়ে। প্রথমেই গেলাম থিম্পুর বিখ্যাত লোকাল মার্কেট এরিয়ার, এখানে মিলে ভুটানের বিখ্যাত যতসব হস্তশিল্প এবং সব স্থানের প্রতিকৃতি। পর্যটকদের ভুটান-সম্পর্কিত কেনাকাটার প্রধান মার্কেট এটি। কেনাকাটা শেষ হতেই একটু দূরের একটি মনস্ট্রিতে গেলাম আমরা, এর পাশের এক চাচার দোকানের শিঙাড়া বেশি মুগ্ধ করেছিল আমায়, মাত্র ১০ রুপিতে এত বড় আর মজাদার শিঙাড়ার খোঁজ দেওয়ার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ সানী ভাই, মাজেদ ভাই আর নাসের ভাইকে। শিঙাড়া আর মনস্ট্রি পর্ব শেষ করে আমরা যাত্রা অব্যাহত রাখলাম থিম্পুর আরো বিখ্যাত বুদ্ধা টেম্পলের দিকে। ভুটানের বিখ্যাত সবকিছুই মোটামুটি পাহাড়ের ওপর তেমনি এই বুদ্ধা টেম্পলও এর ব্যতিক্রম নয়, এই টেম্পল এরিয়া এবং এর আশপাশে সদ্য বৃষ্টিস্নাত নিম্ন এরিয়াগুলো দেখতে অপূর্ব লাগছিল, মেঘগুলো ‘যেন’ আমাদের ছুঁয়ে যাচ্ছিল নয়, মেঘগুলো আসলেই আমাদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছিল একটু পরপর। এই টেম্পলের নিচেই এই ট্যুরেই প্রথমবারের মতো হিমালয়কন্যা দেশগুলোর বিখ্যাত খাওয়ার মম চেখে দেখেন অনেকে এবং এর পরপরই আমরা যারা খাইনি তাদের ভাগ্যবান হিসেবে আখ্যায়িত করেন। টেম্পলে মেঘবিলাস আর মম পর্ব ফুরিয়ে গেলে আমরা রওনা দিলাম, যাত্রা অনেক দূরের ফোবজিকা ভ্যালি, এই ট্যুরের সবচে আকর্ষণীয় স্থান। পথে পুনাখা শহরে থামলাম লাঞ্চের জন্য। পরদিন ফোবজিকা থেকে ফিরে পুনাখাতে আমাদের এক দিন থাকা হবে। ফোবজিকাতে আমরা থাকব এক স্থানীয় কৃষক পরিবারের ফার্ম হাউজে, তাদের হাতেই রান্না হবে রাতের খাবার।

(চলবে)

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads