• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ঘরবন্দি সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় গুরুত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণ

ঘরবন্দি সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় গুরুত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০২০

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলমান অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় গুরুত্বারোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা যখন প্রায় ৫ হাজার ছুঁই ছুঁই, তখন দেশব্যাপী লকডাউন জোরদার করে নাগরিকদের ঘরে থাকার অনুরোধ করছে সরকার।

ফলে ঘরে থাকতে গিয়ে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ঘটেছে ছন্দপতন, যা বিশেষ করে শিশুদের মনের ওপর চাপ বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন মনোবিদরা। এ অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যায় গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, `প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে ঘরে থাকুন। কিন্তু এক নাগাড়ে শিশু-কিশোর তরুণসহ সকল বয়সের মানুষের ঘরে থাকা অনেক কষ্ট। এই সময়ে মানসিক ¯ স্বাস্থ্যের পরিচর্যা খুবই জরুরি। “মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বই পড়ুন, বাগান করুন, নিয়মিত হালকা ব্যয়াম করুন। শিশুদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করুন।'

যারা লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনে নিয়ম মেনে ঘরে থাকছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, “তাই যারা ঘরে থাকছেন, নিয়ম মানছেন, সম্মুখ যোদ্ধা না হলেও তারা সকলেই কোভিড যোদ্ধা। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই, আপনারা এই যুদ্ধে শরিক হয়েছেন যার যার অবস্থান থেকে।'

রেডক্রস পরিচালিত একটি মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ইউরোপে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশ ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল আর কঠোর, দীর্ঘ লকডাউন দুইয়ে মিলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

এমন কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। মানসিক বিপর্যয়ের সঙ্গে যুঝতে থাকা অসংখ্য মানুষের ফোনকল পাচ্ছেন তারা। অনেকেই বলছেন, ঘরেবন্দি থাকাটা তাদের কাছে জেলে বন্দি থাকার মতোই কঠিন মনে হচ্ছে। কেউ ভুগছেন একাকীত্বে, কেউ আতঙ্কে। অনেকে আবার আত্মহত্যাও করতে চাইছেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি, তেমনই গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা। এ সবেরই মিশ্র প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে।

লকডাউনের অনিশ্চয়তায় বাড়ছে মানসিক অসুস্থতা। এদিকে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। রমজানে খাদ্যাভাস মেনে চলতেও অনুরোধ করেন নাসিমা সুলতানা।
`পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে সকলেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস চর্চা করুন। যতটা সম্ভব তেলে ভাজা ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। খাদ্য তালিকায় টাটকা ফল ও সবজির পরিমাণ বেশি রাখুন। ইফতারের পর পানিসহ তরল জাতীয় খাবার বেশি পান করুন।'ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পুষ্টিবার্তাও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রচার করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads