• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

ভ্রমণ

ঘুরে আসুন কালাপাহাড়, হামহাম ঝরনা

  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০২০

এআই শাহ রাজন

 

পাহাড়ের নির্জন নিস্তব্ধতা, বন্য সৌন্দর্য, আর এর প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা রহস্য সবাইকে আকর্ষণ করে। পাহাড়ে চোখের শান্তি, মনের শান্তি, চারিদিকে কেবল শান্তি আর শান্তি।

এত দ্রুততার সাথে আমাদের যাত্রার প্রস্তাব পাশ হবে, সম্ভবত এটা আমরা কেউ ভাবিনি! গন্তব্য ঠিক হলো সিলেট। কারণ আমাদের এক বন্ধু থাকে সুনামগঞ্জ। এখন সিলেটের অধিকাংশ জায়গাই আমাদের দেখা শেষ, বাকি আছে হাতেগোনা কয়েকটি, ভোটাভুটিতে কালাপাহাড় আর হামহাম ঝরনা জয়যুক্ত হলো।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সুনামগঞ্জের বন্ধুটি চাকরির খাতিরে আমাদের সাথে যোগদানে ব্যর্থ হয়। প্রথমদিনের লক্ষ্য কালাপাহাড়ের উদ্দেশে আমরা রওনা দিই ৫ জন। আসলে সিলেটে ৫ জনের দলই আসলে ভালো, কারণ এতে যাতায়াতের খরচের সর্বোচ্চ ব্যবহারটা করা যায়। আমাদের ট্রেন ছিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায়, কালনী এক্সপ্রেসে। রাতে আমরা কুলাউড়া স্টেশনে নেমে স্টেশনের পাশেই আজাদ বোর্ডিং-এ ওঠি। পরদিন ১০ টা ৩০ মিনিটে  আমরা আজগরাবাদ টি-স্টেট পৌঁছলাম।

কালাপাহাড় হচ্ছে বৃহত্তর সিলেটের সর্বোচ্চ চূড়া এমনকী বাংলাদেশের উত্তর অংশেরও সর্বোচ্চ বিন্দু। তাই কালাপাহাড়ের যাওয়ার ইচ্ছেটা আগে থেকেই ছিল। এর উচ্চতা ১ হাজার ৯৮ ফুট। আমরা জানতাম ট্রেকিং ৫/৬ ঘণ্টার মতো যাওয়া-আসা মিলিয়ে। তাই এতো দেরিতে আসা কিন্তু পরবর্তী আমরা আসলে টের পেয়েছিলাম সিদ্ধান্ত ভুল ছিল! (যেকোনো ভ্রমণ সকালবেলা শুরু করাটাই শ্রেয়) এক বাঙালি ভাইয়ের সাথে আগেই আমাদের ভ্রমণ সঙ্গীর কথা ঠিক হয়েছিল, কিন্তু উনি ব্যস্ত থাকায় যেতে না পারায়, উনিই সেখানের স্থানীয় এক গাইড ঠিক করে দেন। সেখানকার স্থানীয় ভাইয়েরা জোঁক মারতে একটা ঔষধি তেল (মূলত তামাকপাতা আর নারিকেল তেলের মিশ্রণ ছিল) তৈরি করে বোতলে দিয়ে দিলেন । আমরা ট্রেকিং শুরু করি ১১ টার দিকে।

পাহাড়ে ভ্রমণের মজাটা হলো ক্ষণে ক্ষণে এর রূপ পরিবর্তন, পুরো যাত্রাপথই আসলে রহস্যময়, মনোমুগ্ধকর আর বিপদসংকুল । বিপদসংকুল বলা হলো এই কারণে যে, কিছু কিছু জায়গায় গাছপালার জন্য রোদ না পড়ায় মাটি কর্দমাক্ত আর পিচ্ছিল থাকে প্রায় সবসময়। আর পুরো যাত্রাপথের অধিকাংশ সময় একপাশে খাদ রেখে আপনাকে পথ চলতে হবে । (কালাপাহাড়ের চূড়ায় ওঠার অনেক পথ রয়েছে, আমরা আমাদের গাইড মামাকে বলেছিলাম যাওয়ার পথ পাহাড়ি আর আশার পথ ঝিরি করার জন্য, এজন্যই সম্ভবত আমরা খাদসহ পথ বেশি পেয়েছি প্রথমদিকে, তাছাড়া পাহাড়িপথে খাদ না পাওয়াটাই তো অস্বাভাবিক) অবশ্য কালাপাহাড়ের খাদে পড়লে আপনার মৃত্যু অবধারিত নয় কিন্তু আহত আপনি হবেন নিশ্চিত। কারণ কালাপাহাড়ের গাছপালা এতো ঘন যে, পড়ে গেলেও আপনার পতন বাধাগ্রস্ত হবে। তবে সাবধানে পথ চললে এসবের কিছুই হবেনা নিশ্চিত থাকুন।

পথিমধ্যে আমরা হাজারো গাছপালা দেখলাম এর মধ্যে বেশি যেটা চোখে পড়ল, আমাদের অতি পরিচিত পানপাতা। এখানকার স্থানীয়দের জীবিকার মূল উৎসই এই পানপাতা। চলার পথে আমরা নিয়মিত শুনছিলাম সুরেলা পাখির গান, আর এর মাঝে মাঝেই বেরসিকের মতো ডেকে উঠছিল তক্ষক আর ঝিঁঝিঁ।

আমাদের ভাগ্য সেদিন ভালো ছিল বলা যায় কারণ বৃষ্টি ছিল না, বৃষ্টিযুক্ত ভয়ানক পাহাড়ি রাস্তা ট্রেকিং যে কতটা দুঃসাধ্য সেটা কেবল ট্রেকাররাই বুঝবেন ভালো। তো তীব্র রোদে আমাদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা, হাঁটছিতো হাঁটছিই ! কখনো উঁচু, কখনো নিচু, কখনো খাড়া, কখনো ঢালু। মাঝে মাঝে থেমে বিশ্রাম নিচ্ছি তবে বড়সড় বিশ্রামটা নিতে হলো এক বন্ধু হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার পর, কারণ সে সকালে তেমন কিছু খাইনি শত বলার পরও! রাতে ঘুমাইনি এবং তার জন্য এটা প্রথম ভ্রমণ! এদিকে পানিও শেষ প্রায়, তাই স্যালাইন ও অকার্যকারী । (প্রত্যেকে দেড় লিটার করে পানি নেওয়া সত্ত্বেও প্রচণ্ড রোদ সব শুষে নিয়েছিল! তাই অবশ্যই সবাই পর্যাপ্ত পানি বহন করবেন অবশ্যই এবং অবশ্যই) তখন বসে বসে আমরা গাইড মামার কেটে দেওয়া কলাগাছের কাণ্ড আর টেকাটুকি পাতা চিবুচ্ছি । আমরা বেশ খাড়া স্থানে ছিলাম। নিচে ঝিরির শব্দ পাচ্ছিলাম। কিন্তু পথ অতিরিক্ত খাড়া আর শরীর দুর্বল থাকায় পানি আনার চিন্তা মাথা থেকে সরানোর চিন্তা করছিলাম আমরা। হঠাৎ-ই দুজন খাসিয়া দেবদূত হয়ে এলেন, ওনাদের অনুরোধ করলে   আমাদের ৩-৪ বোতল পানি এনে দেন ২০ মিনিটের মধ্যে। ওনাদের অনেকবার বলা সত্ত্বেও এত বড় উপকারের বিনিময়ে কোনো টাকা দিতে পারিনি। অনেক বলার পর আমাদের সাথে থাকা কিছু খাবার দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করতে সমর্থ হই। আমাদের অসুস্থ বন্ধুটিও ধীরে ধীরে সজীবতা ফিরে পেল। ওনাদের ঋণ আমরা আর কোনোদিনই সম্ভবত শোধ করতে পারবো না, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার নিকট একটাই আকুতি-ওনারা যেন ইহজীবন ও পরজীবন দুটোতেই অনেক অনেক শান্তিতে থাকে।

আবার হাঁটা শুরু হলো ৩০ মিনিটের বিশ্রাম শেষে। পথিমধ্যে জোঁক ও মশা আমাদের সবাইকে তার আলতো স্পর্শ দিয়ে গেছে। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা হাঁটার পর দুপুর ২ টার দিকে আমরা কালাপাহাড়ের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হই। তবে চূড়ায় চারিদিকে প্রচুর বাঁশ গাছ থাকায় দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আমরা চূড়ায় না থেমে আবার শুরু করি পথচলা, এবার উদ্দেশ্য ঝিরিপথ। আবারো উঠছি আর নামছি, নামছি আর উঠছি, পথ দেখি ধীরে ধীরে আরো ঘন হচ্ছে গাছপালা দিয়ে, একটা সময় এমন হলো যে গাইড মামা দুইপাশের ঝোঁপঝাড় কাঁটতে কাঁটতে গেলেন, কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছিল আচ্ছা ঠিক পথে যাচ্ছি তো? মুখ ফসকে বলেও ফেললাম! গাইড মামা তখন অভয় দিয়ে বললেন যে, মানুষের চলাচল এই পথে খুব একটা হয়না বলে এমন হয়েছে, সমস্যা নেই। মামা বেশ মজার মানুষ, ওনার রসবোধ বেশ... তিনি সারাটা পথ আমাদের বিভিন্ন মজার কথা আর উৎসাহ দিয়ে চাঙ্গা করে রেখেছিলেন ।

২ ঘণ্টা অসমতল বন্যপথ হাঁটার পর আমরা যখন ঝিরির দেখা পেলাম, সেই অনুভূতি ভাই ভোলার নয়। ঝিরির পানিতে যখন সবাই গা ডুবালাম তখন মনে হলো জীবনে বোধ হয় আর কিছু চাইবার নেই । ঝিরির স্বচ্ছ পানিতে সবাই যখন গা ডুবিয়ে বসে, দূর থেকে মামা দেখি ডাকছেন। কাছে গেলাম, দেখা পেলাম মোহনীয় ছায়াপুঞ্জির, ছায়াঢাকা, সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে স্নিগ্ধ শান্তরূপে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে মনে হয়েছিল এখানেই থেকে যাইনা সারাটা জীবন  ছায়াপুঞ্জিকে যখন নিজেদের চোখে খুব কাছ থেকে দেখি, বিজয়ী, মুগ্ধতা আর তৃপ্তির এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করে । যতটুক মনে আছে এর ধাপের সংখ্যা ৪ টি, অদ্ভুত সুন্দর পাথর (অনেকটা খাঁজকাটা মার্বেল পাথরের মতো) এত অনিন্দ্যসুন্দর রূপ নিয়ে গভীর অরণ্যে কে জানত এই রাজকুমারী থাকে! হাজার বছরের প্রাচীন নিস্তব্ধতা যেখানে কত প্রশান্ত হয়ে ছড়িয়ে থাকে, অযুত-নিযুত পাতার সমারোহ যেখানে বিছিয়ে রাখে কী অপূর্ব সবুজ মুগ্ধতা! এত মায়া, এত কমনীয়তা, এত রূপের ডালা সাজিয়ে সে বোধহয় আমাদেরই অপেক্ষায় ছিল। কোনো মানুষের পা পড়েনা দেখেই বোধহয় এর পরিবেশ এতটা বন্য, শান্ত আর দৃষ্টিনন্দন।

আমরা আমদের বোতলগুলো ঝিরির পানি দিয়ে পূর্ণ করে নিলাম। ১ ঘণ্টা আমরা ছায়াপুঞ্জিতে ছিলাম। (তখন অবশ্য মনে হচ্ছিল এক যুগ!) আবার হাঁটা শুরু হলো, কিছুক্ষণ হাঁটার পর ঘড়িতে দেখলাম ৬ টা বাজে, আমরা তখন ঝিরিপথ দিয়ে চলেছি, ঝিরিপথের পানি কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমড় ছুঁয়ে যাচ্ছে। ঝরনার পানি সবার দেহ থেকে সকল দুর্বলতা আর ক্লান্তি ধুয়ে-মুছে নিয়ে গেছে, সবাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে । ঝিরিপথে চলেছি আর চারদিকে ক্রমে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে, সূর্যের আলো নিভে গেল হঠাৎ করেই, জ্বলে উঠলো অজস্র নক্ষত্র আর জোনাকির আলো। জীবনে কখনো রাতে ট্রেকিং করিনি, কিন্তু ওই মুহূর্তে চারপাশের পরিবেশ, দেহে একটা ভয়জাগানো ভালোলাগার শিহরণ দিয়ে গেল! ঝিরিপথের রাস্তায় গাছের ঘন সারির জন্য যখন ঘোর আঁধারের পথ শুরু হলো দুই-তিনজনের মোবাইলের কৃতিম আলো জ্বেলে দিতে আমরা বাধ্য হলাম, ২ ঘণ্টার মতো ঝিরিপথে হাঁটার পর পড়ল আবার পাহাড়িপথ, রাত ৯ টার দিকে যখন আমরা রাস্তার কাছাকাছি চলে আসি তখন মনে হচ্ছিল দেহে শক্তি বলে কিছু নেই, হিসাব করে দেখলাম প্রায় ১০ ঘণ্টা লেগেছে! এর মধ্যে ১ ঘণ্টা গোসল আর ৩০-৪৫ মিনিট বিশ্রাম ধরলে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টার হাঁটাহাঁটি! পুরো ভ্রমণ সময়টা আমাদের অনেক মানসিক শান্তি দিয়েছে, দিয়েছে অনেক অভিজ্ঞতা, অনেক শিক্ষা । আরেকটা জিনিস দিয়েছে সেটা হচ্ছে বিশ্বাস যার ফলে জাগতিক সবকিছুই করা সম্ভব।

পুরো যাত্রাপথে কারো মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিল না, তাই ব্যাপারটা সবাই মাথায় রাখবেন।

(২য় দিন আমরা গিয়েছিলাম হামহাম ঝরনা দেখতে, কালাপাহাড়ের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণের পর হামহাম-এর রাস্তাকে মনে হচ্ছিল ছেলেখেলা! যদিও এর অল্পকিছু অংশ মানে ৭০০ ফুট আপনাকে ৬০-৭০ ডিগ্রি এঙ্গেলে নামতে এবং উঠতে হবে, হামহামে যেতে এবং আসতে আমাদের মোট লেগেছিল ৬ ঘণ্টা, এর ১ ঘণ্টা আমরা ঝরনায় ছিলাম)

সবশেষে বলি আলহামদুলিল্লাহ, হালকা একটু ঠাণ্ডা লাগা ছাড়া আমরা সবাই সুস্থ ছিলাম। আপনাদের ভ্রমণ হোক আনন্দময় আর রোমাঞ্চকর...।

খরচ:

কালাপাহাড়:

ঢাকা-কুলাউড়া ( ট্রেন)  ৩০০/-

কুলাউড়াতে আজাদ বোর্ডিং-এ রাতে থাকা খাট প্রতি  ১২০/-

কুলাউড়া থেকে আজগরাবাদ টি-স্টেট (সিএনজি)  ৩০০/-, ৫ জন গেলে জনপ্রতি  ৬০/-

কালাপাহাড় গাইড আমরা ৬০০ তে ঠিক করলেও আমরা ফিরে এসে ওনাকে তার পাওনা টাকার এক তৃতীয়াংশ বেশি দেই কারণ এটা ওনার পাওনা। ৮০০/- দিয়েছিলাম। জনপ্রতি  ১৬০/-

আজগরাবাদ থেকে আবার কুলাউড়া ফেরত (সিএনজি) ৩০০/-, আগের মতোই জনপ্রতি  ৬০/-

এপর্যন্ত ভ্রমণ খরচ ৭০০/- জনপ্রতি। এখান থেকেই যদি ঢাকা ফেরত যান তাহলে সাথে আর ৩০০ যোগ হবে। আর যদি হামহাম ঘুরেন তাহলে নিচের খরচটুকু যোগ হবে।

হামহাম:

আবার রাতে বোর্ডিং-এ থাকা জনপ্রতি  ১২০/-

কুলাউড়া থেকে কলাবনপাড়া (সিএনজি) ৬০০/- নিয়েছিল, ৫ জনের জন্য জনপ্রতি  ১২০/-

লাঠি নিয়ে নিতে পারেন, একেকটা  ৫/-

হামহামের গাইড মামা নিয়েছিল ৩০০ টাকা, যা আমাদের ৫ জনের জন্য জনপ্রতি ৬০/-

সাঁকো তৈরির জন্য একজায়গায় জনপ্রতি ১০/- করে নেয়।

হামহাম ঘুরে আবার কুলাউড়াতে ব্যাক করার জন্য সিএনজি ৬০০/- এবং সারাদিন বসিয়ে রাখার জন্য তাকে ৩০০/- এক্সট্রা দিতে হয়, এই ৯০০/- এর মধ্যে জনপ্রতি হয়  ১৮০/-

সারাদিন আমাদের ব্যাগগুলো রাখার জন্য এবং ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য দুই বেডের একটা রুম নিয়ে রাখি যা ২৪০/- পড়ে, জনপ্রতি  ৫০/- এর মত

এবার ঢাকায় ফিরতে,

কুলাউড়া থেকে ঢাকা ( ট্রেন)  ৩০০/-

হামহাম শেষে হিসাব দাঁড়ায়, জনপ্রতি ১৫৪৫/-

আর যদি আমাদের পন্থায় শুধু হামহাম যান, তাহলে ৮৪৫/-

এখানে খাবারের হিসাবটা দেওয়া হয়নি, কারণ একেকজন একেকরকম খাবার খাবেন। কেউ দুইবেলা, কেউ তিনবেলা। খাবারের দাম খুব একটা কম বেশি না, তো নিজেদের মতো এই খরচের সাথে খাবার খরচ এড করে নেবেন।

ভ্রমণে গিয়ে দয়া করে যাত্রাপথ ময়লা করবেন না, ময়লা করলে আজ হোক কাল হোক প্রকৃতিই আপনার ওপর প্রতিশোধ নেবে ভিন্ন কোনো রূপে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads