• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ, হতাশ আমদানিকারকরা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আমদানি-রফতানি

মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ, হতাশ আমদানিকারকরা

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জুলাই ২০২১

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যাপক চাহিদার কারণে মিয়ানমার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পশু আমদানি শুরু হলেও বিকালে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে পশু আমদানীকারকরা। বিপুল টাকা লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে ব্যবসায়িরা। মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি না হলে অনেকেই কোরাবানী দিতে পারবে না আশঙ্কা করছেন তারা।

অন্যান্য বছর কোরবানীর ঈদের সময়ের প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে থেকে টেকনাফ করিডোর দিয়ে মিয়ানমারের গরু আসতো। কিন্তু চলতি বছরে করোনা সংকটের কারণে পশু আমদানী বন্ধ। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে পশু আমদানীকারকরা। তবে কিছুটা আশার আলো দেখেছিল গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ শত পশু এসেছে। তবে বিকালে পশু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে পশু আমদানীকারকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ পশু আমদানী কারক সমিতির সভাপতি টেকনাফ পৌর প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির জানান,অন্যান্য বছর এমন সময়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার পশু আসতো। কিন্তু চলতি বছরে মাত্র গতকাল প্রায় ১৭০০ পশু এসেছে। কিন্তু বিকাল বেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে চিঠি অনুসারী পশু আমদানী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা চরম হতাশ। কারণ অনেক ব্যবসায়িরা কয়েক কোটি টাকা মিয়ানমারে চালান পাঠিয়েছে এখন সব টাকা লোকসান হতে পারে। এছাড়া উখিয়া টেকনাফ কোন পশুর খামার নাই তাই সাধারণ মানুষ কোরবানী করতে পারবে না। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী করতে না পারলে কোরবানীর পশুর অনেক বেশি দাম হবে। এতে সাধারণ মানুষও অনেক কষ্ট পাবে।

টেকনাফ পৌরসভার সাবেক কমিশনার আবদুল কুদ্দুস সওদাগর বলেন, মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে সাধারণ মানুষ কোরবানি করতে পারবে না। আর করোনার দোহাই দিয়ে পশু আমদানী করার মত কোনো কারণ আমি দেখি না। কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু বাস্তবে সব কিছু খোলা এখানে রোহিঙ্গাদের রাজত্ব চলছে সব কিছুই অনিয়ন্ত্রিত। এছাড়া এনজিওর হাজার হাজার কর্মীরাতো আছেই। তাহলে কেন পশু আমদানী বন্ধ হবে ?

একই ভাবে উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহামদ বলেন, আমরা যতই বলি বাস্তবতা হচ্ছে মিয়ানমারের গরু না আসলে পুরু কক্সবাজারের কেউ ঠিক মতো কোরবানি করতে পারবে না। কারণ দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানীর চাহিদা পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব না। তখন ৫০ হাজার টাকা দামের গরু লাখ টাকা দিলেও কেনা যাবেনা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনী পরীক্ষা করে পশু আমদানী অব্যাহত রাখার দাবী জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads