• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
যুক্তরাষ্ট্রে বেক্সিমকো ফার্মার আরেকটি ওষুধ রপ্তানি

সংগৃহীত ছবি

আমদানি-রফতানি

যুক্তরাষ্ট্রে বেক্সিমকো ফার্মার আরেকটি ওষুধ রপ্তানি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে আরো একটি ওষুধ রপ্তানির অনুমতি পেল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধের এই বাজারে নিজেদের দশম ওষুধ রপ্তানির অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ফার্মা।

ব্যাকলোফেন (১০ এবং ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট) নামে বেক্সিমকোর এ ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।

ব্যাকলোফেন মাসল রিলাক্সেন্ট গ্রুপের একটি ওষুধ, যা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা মেরুদণ্ডের আঘাত ও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পেশির ব্যথা, সংকোচন এবং জটিল চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ কর্তৃক অনুমোদিত বেক্সিমকোর নবম ওষুধ, যা শিগগিরই দেশটিতে বাজারজাত করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইকিউভিয়া নিরীক্ষিত রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে ৯টি কোম্পানি ব্যাকলোফেন বাজারজাত করছে। ২০২০ সালে বেকলোফেনের মোট বাজার ছিল প্রায় ১১০ মিলিয়ন ডলারের।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বেকলোফেনের অনুমোদন পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং আমাদের প্রত্যাশা এই বহুল প্রচলিত ওষুধটি বাজারজাতকরণের মাধ্যমে আমরা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হব।’

করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ওষুধের রপ্তানি বেশ বেড়েছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধের অন্তর্ভুক্তি, গুণগত মানের উন্নয়ন ও সরকারের নীতি সহায়তার কারণে সুবাতাস বইছে এ খাতে।

গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ডলারের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করেছে। বর্তমান বাজার দরে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।

এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, গত অর্থবছরে কেবল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধ রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ মূলত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার, কুষ্ঠরোগ, অ্যান্টি-হেপাটিক, পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, কিডনি ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশই দখল করে আছে বেক্সিমকো। দ্বিতীয় অবস্থানে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, এিম ল্যাবরেটরিজসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads