• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
পাকশী রেলবিভাগে রাজস্ব আয় বেড়েছে

সংগৃহীত ছবি

রাজস্ব

পাকশী রেলবিভাগে রাজস্ব আয় বেড়েছে

  • ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২২

পাকশী রেলবিভাগে রাজস্ব আয় গতবছরের চেয়ে এই বছর বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় ভারত থেকে পণ্য পরিবহনে ২০১৯-২০২০ (জুলাই-জুন) অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১০২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ২০২০-২০২১ (জুলাই-জুন) অর্থবছরে পাকশী রেলবিভাগ রাজস্ব আয় করেছে ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ২২৩ টাকা। এক বছর ব্যবধানেই রাজস্ব আয় বেড়েছে ৮০ কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ টাকা।

করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের জন্য যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল কিছুদিন বন্ধ ছিল তাই কাঙ্খিত অর্জন হয়নি ২০১৯-২০২০ (জুলাই-জুন) অর্থবছরে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনের কোচ এসেছে বাংলাদেশ ১ হাজার ৬১৩টি। ভারত থেকে গম, চাল, ভুট্টা, পাথর, পেঁয়াজ, ফ্রাইআশ, খৈল বক্সেন হস্তান্তর করেছে ভারত। মালবাহী ট্রেনযোগে এসব পণ্য দেশে আসে। ফলে রেলের আয় একইসাথে আবার দেশে খাদ্য চাহিদা পুরণ সম্ভব হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের জন্য যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল কিছুদিন বন্ধ ছিল। সে সময় পাকশী রেলওয়ে বিভাগে রাজস্ব আয় বাড়াতে পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে ট্রেন ক্রসিং সমস্যা ছিল কম। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দফতর পাকশী হওয়ার কারণে লোকোমোটিভ ইঞ্জিন,ক্রু চালক এবং ট্রেন পরিচালক চাহিদা মোতাবেক পাওয়া গেছে। যার কারণে একঅর্থবছরে শুধু ভারতের থেকে রেক আসা সম্ভব হয়েছে ১ হাজার ২১৩ টি এবং পুনরায় খালি রেক ফেরৎ গেছে ১ হাজার ৬০৮ টি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বিভিন্ন আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে আয় হয়েছে, ১৫৭ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৮ টাকা। যাত্রীবাহী ট্রেনের চেয়ে এক অর্থবছরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের রাজস্ব আয় ২৬ কোটি ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৫ টাকা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, একসময় এসব পণ্য সড়কপথে আসা যাওয়া করতো। এসময় খুবই কম মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে দেশে আসতো। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ভারত থেকে সর্বোচ্চ রেক বাংলাদেশ এসেছে এবং খালি রেক ফেরৎ গেছে। এছাড়া গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের রাজস্ব আয় বেশ বেড়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম জানান ভারত থেকে আগে সড়কপথে পণ্যসামগ্রী দেশে আনা হতো। এতে ভোগান্তি পোহাতে হতো বেশ। কম সময়, স্বল্প খরচে দেশে ট্রেনযোগে নিয়ে আসা যায়। দেশে যেনো খাদ্যের ঘাটতি সৃষ্টি না হয়। বর্তমান রেলবান্ধব সরকার এর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলপথ মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে পাশ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্বাবধানে ভারত থেকে এখন পণ্যবাহী ট্রেনে পণ্যসামগ্রী আনা সহজ হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পণ্যবাহী রেল-যোগাযোগ হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ পণ্যবাহী রেক ভারত বাংলাদেশ প্রবেশ করেনি। স্বাধীনতার পর প্রথম রেকর্ড সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads