• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

দুর্ঘটনা

অবহেলায়ই সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০২১

দেশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে; কিন্তু প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। কোনো একটি  দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েকদিন আন্দোলন আর কিছু সুপারিশ দিয়েই তা চাপা পড়ে যায়। আইন বাস্তবায়নে নেই কঠোর পদক্ষেপ। আর যানবাহন মালিক-চালকদের নানা অবহেলায় দেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার কমছে না।

গতকাল শনিবার ঢাকা আহসানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শাহনেওয়াজ হাসনাত-ই-রাব্বি। আলোচনায় অংশ নেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন কর্মী শরাফ উদ্দিন আহমেদ ও আহসানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।       

বুয়েট-এর দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বির  সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেফটি ২০১৮-এর তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর মধ্যে ৫-২৯ বছর বয়সসীমার মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। এসব মৃত্যুর ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে সংঘটিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পঙ্গুত্ববরণ করে আরো অনেক বেশি মানুষ।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে ১৩২টি দেশ সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। এর মধ্যে ৪৬টি দেশে গতি সম্পর্কিত, ৪৫টি দেশে মদ্যপান সম্পর্কিত, ৪৯টি দেশে হেলমেট সম্পর্কিত, ১০৫টি দেশে সিটবেল্ট এবং ৩৩টি দেশে শিশুদের জন্য নিরাপদ আসন সম্পর্কিত আইন প্রচলিত আছে।

গাড়ির গতি যদি গড়ে ৫ শতাংশ কমানো হয় তাহলে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব বলে জানান নিরাপদ সড়ক চাই-এর অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এস এম আজাদ হোসাইন। তিনি বলেন, গাড়ির ড্রাইভার ও যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা হলে সামনের সিটের ক্ষেত্রে শতকরা ৫০ ভাগ এবং পেছনের সিটের ক্ষেত্রে শতকরা ৭৫ ভাগ যাত্রীর দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার রোধ করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ছোট গাড়িতে শিশুদের উপযুক্ত আসন ব্যবস্থা রাখলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪ থেকে ৮০ শতাংশ শিশুকে নিরাপদ রাখা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা আহসানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. মুখলেসুর। তিনি বলেন, সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পথচারী বা সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads