• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সুস্বাদু পাবদা চাষে সফলতা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

সুস্বাদু পাবদা চাষে সফলতা

  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ 

দেশে যখন ট্যাংরা, পুঁটি, কৈ, পাবদা, রয়নাসহ দেশি প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে, মানুষের মাছের চাহিদা মেটাতে চলছে নানা উদ্যোগ। তবে এখনো যে অল্পসংখ্যক মাছ বাজারে আসে তাও দামে বেশ চড়া। ফলে সুস্বাদু এ মাছগুলো চলে যায় ধনী মানুষের রান্নাঘরে। তবে পুকুরে পাবদা মাছের সফল চাষ শুরু হওয়ায় আবার আশার আলো দেখা দিয়েছে। জেলার কালীগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শওকত আলী বিশ্বাসের ছেলে মমরেজ আলী বিশ্বাস (৪৯) জানালেন, মৎস অফিসের সহযোগিতায় তিনি পুকুরে সুস্বাদু পাবদা মাছের চাষ করেছেন। আশানুরূপ উৎপাদনে অন্য যে কোনো মাছচাষের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি। আগামীতে আরো অধিক জলাকারে পাবদা মাছের চাষ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

মমরেজ আলী জানালেন, তৈলকুপি গ্রামে তিনি এবার ৬ একর জলঅকরের পুকুরে দেশি পাবদা মাছের চাষ করেছেন। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ জলাকারে তিনি পাবদা মাছ চাষ করে ৩০ হাজার টাকা মুনাফা পেয়েছিলেন। তবে সেটি ছিল কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস অফিসের দেয়া একটি প্রকল্প। মৎস অফিসের দেয়া ১০ হাজার পাবদা পোনা ছেড়ে ৭ মাস পরে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে সকল খরচ বাদে ওই পরিমান মুনাফা পান মমরেজ আলী। তার মতে, অন্যান্য মাছ চাষের তুলনায় পাবদা মাছের চাষ লাভজনক হওয়ায় দ্বিতীয়বার তিনি ২০১৯ সালের মে মাসে ৬ একর পুকুরে ১টাকা দওে কিনে সাড়ে ৩ লাখ পাবদার পোনা ছাড়েন। পাবদা মাছের সাথে প্রতি শতাংশে ১০টি করে কার্পজাতীয় মাছ ছেড়েছিলেন। ৭ মাস পরে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১২টন পাবদা মাছ বিক্রি করেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। এর একমাস পর কার্পগুলো বিক্রি থেকে আরও ৮ লাখ টাকা পাবেন বলে আশা করছেন। পুকুর লিজ, মাছের খাবার, ওষুধ, পানি সেচের বিদ্যুত বিল, নিয়মিত ও অনিয়মিত শ্রমিকের বেতনসহ সব মিলিয়ে মিলে ৩৮ লাখ টাকা খরচ হলেও তার নিট মুনাফা দাঁড়াবে কমপক্ষে ১৫ লাখে। মমরেজ আলী জানান, স্থানীয় বাজারে এই মাছ বিক্রি করলে কেজি প্রতি ৩শ থেকেসাড়ে ৩শ টাকা পাওয়া যায়।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, বৃহত্তর যশোর মৎসচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মৎস্য খামারি মমরেজ বিশ্বাসকে ১০ হাজার পাবদা মাছ ও ৫ব্যাগ খাবার দেয়া হলে তিনি মাত্র ২৫ শতাক জলাশয়ে পাবদা চাষ করে বেশ লাভবান হন। আর সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে ২০১৯ সালে ১৮ বিঘা পুকুরে পাবদা মাছের চাষ করে আরো অধিক লাভবান হয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads