• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

কৃষি অর্থনীতি

রবি শস্য মৌসুমে আলু, সরিষা চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ ডিসেম্বর ২০২২

এ,টি,এম, খালেকুজ্জামান মিঠু, কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি:
চলতি রবি শস্য মৌসুমে বগুড়ার কাহালুতে আলু ও সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। হেমন্ত কালে রোপা আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই কৃষকরা রবি শস্য চাষে মাঠে নামে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে চাষিরা আলু ও সরিষার বীজ বপন করতে সারাদিন মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কাহালুতে রবি শস্য মৌসুমে আলু ও সরিষার ব্যপক চাষ হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু ও ৫ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্দ্ধারন করা হয়েছে। কৃষকরা রবি শস্য মৌসুমে জমিতে অধিক ফলনের আশায় বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ফাঁটা পাকড়ি, তেল পাকড়ি, বট পাকড়ি, কালো পাকড়ি, ও রোমানা কার্ডিনাল,ষ্টিক, ডায়মন্ড,এ্যালভেরি উন্নত জাতের আলু উল্লেখযোগ্য।

এদিকে চলতি রবি শস্য মৌসুমে টিএসপি, (ট্রিপল সুপার ফসফেট) প্রতি ৫০ কেজির ব্যাগ ২২ টাকা কেজি দরে ১১০০ শ টাকা এমওপি, (মিউরেট অফ পটাশ) ১৫ টাকা কেজি দরে ৭৫০ ও রাসায়নিক ইউরিয়া সার ২২ টাকা কেজি দরে ১১০০ শ, টাকা বিক্রির সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশ অমান্য করে সার বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি করছেন সার বিক্রেতারা। দেখার কেউ নেই। তবে কৃষি অফিস জানায়, ডিলাররা সার যেখান থেকেই আনুক যেন কৃষকরা তা কিনতে পারে। এদিকে সরকারের পর্যাপ্ত সার মজুত থাকা সত্বেও কিছু অসাধু ডিলার, খুচরা বিক্রেতারা এসব কৃষি উপকরণ বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন। তবে আলু বীজের তেমন কোনো সংকট না থাকলেও বাজারে বীজ আলুর দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় গেছে বলে জানান কৃষকরা। কাহালুর পৌর এলাকার পালপাড়া গ্রামের আলু চাষি মোঃ আজিজার রহমান জানান, এবার বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ১বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন করতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। দেশী আলু উৎপাদন হবে ৪০/৫০ মণ। আর কার্ডিনাল জাতের আলু প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৭০/৮০ মণ। সব খরচ বাদে আলু চাষে কৃষক লাভবান হয়। তাছাড়া ঐ জমিতে ইরি বোরো ধান রোপন করার সময় শুধু মাত্র পানি সেচ, নিড়ানি ও ঔষধ প্রয়োগ ছাড়া তেমন কোন খরচ হয়না। রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগে জমিতে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন ধানের অধিক ফলন পাওয়া যায়, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিয়া যায় বলে কৃষকরা জানান।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads