• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

সিরিয়ায় সেনা অভিযান সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা এরদোগানের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

সিরিয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য তুরস্কের অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারকে স্বাগত জানালেও আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে ভাষণে জানান এরদোগান। এ বিষয়ে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, সিরিয়ায় অবশিষ্ট আইএস জঙ্গি ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবে তুরস্ক। আলজাজিরার খবর।

গত সপ্তাহে সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণাকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির একটি স্তম্ভের পতন হিসেবে ভাবছেন বিশ্লেষকরা। সমালোচকরা বলছেন, এতে সিরিয়ায় সাত বছর ধরে চলা যুদ্ধে সুরাহার পথ খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

কিন্তু ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত তুরস্কের জন্য স্বস্তি বয়ে আনল। কারণ এর ফলে দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে টানাপড়েন কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্কে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সহায়তা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই এই মার্কিন উদ্যোগের সমালোচনা করে আসছেন এরদোগান।

রাজধানী ইস্তাম্বুলে দেওয়া ওই ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সরেজমিন ফলাফল দেখা পর্যন্ত ফোরাত নদীর পূর্বপ্রান্তে আমাদের অভিযান স্থগিত করেছি। ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ অনুসারে আইএসকে মুছে দিতে অভিযান পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ ও দুই দেশের কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অভিযান স্থগিত করার অর্থ এই নয়, তা সারাজীবন স্থগিত থাকবে। তিনি বলেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলাফল কী হয় তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করব। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে তুরস্কের অভিযান শুরু হবে বলে এরদোগান ইঙ্গিত দেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সিরিয়ার মাটি থেকে কুর্দি গেরিলা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের তৎপরতা দূর করা হবে।

কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস বা ওয়াইপিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। দেশটির মতে, এটি মূলত নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিরই (পিকেকে) একটি শাখা। ১৯৮৪ সাল থেকে এ সংগঠনটি তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। তুরস্কের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোও পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। তবে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।  স্থানীয় সময গত বহস্পতিবার উত্তর সিরিয়ার আফরিনে কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে এক তুর্কি সেনা নিহত হন। চলতি বছরের মার্চে কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে আফরিনকে মুক্ত করে তুর্কি সেনাবাহিনী। এতে সিরীয় বিদ্রোহীরা আঙ্কারাকে সমর্থন দিয়েছিল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এটি তুরস্কের তৃতীয় বড় অভিযান। আইএস ও ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৬ সালের আগস্টে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুটি অভিযান চালিয়েছিল তুরস্ক। তবে এ অভিযানের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পেন্টগন মুখপাত্র কমান্ডার সেন রবার্টসন বলেন, সিরিয়ায় নতুন করে একতরফা যেকোনো অভিযান গভীর উদ্বেগের ও অগ্রহণযোগ্য।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads