আশি বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের ঘরে বসেই করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দ্য ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হচ্ছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ কার্যক্রম চালু হবে।
সর্বশেষ গত সোমবার পাকিস্তানে নতুন করে ৪ হাজার ৩২৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৩ জন মারা গেছেন।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশকে করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় আনতে ১০ বছর সময় লেগে যাবে। অবশ্য পাকিস্তান এরই মধ্যে ১০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। এনসিওসির তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৪৫০। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮৩ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩১ জনকে।
পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ উমর গত সোমবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দেশটির নাগরিকদের মধ্যে যাদের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি, তারা ঘরে বসেই করোনা ভাইরাসের টিকা পাবেন। তিনি বলেন, টিকা কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়াটা জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বেশ মুশকিলের একটা কাজ। এজন্য তারা যাতে কোনো ভোগান্তি ছাড়া করোনার টিকা পারেন, তাই তাদের জন্য ঘরে বসেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবাইকে দ্রুত টিকার জন্য নিবন্ধন করে ফেলার ও টিকা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, ইউক্রেন, ইরান ও বাংলাদেশ তাদের জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে ১০ বছর সময় নেবে। ফিলিপাইন নেবে ৫ বছর, ভারত নেবে ৪ বছর। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, তুরস্ক, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালির ৭৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে ১ বছর সময় প্রয়োজন হবে। আর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও চিলি এক বছরেরও কম সময়ে ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে পারবে। সূত্র : ডন