• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে শুভেচ্ছা এরদোয়ান-মোদির

  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০২২

নবনির্বাচিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইমরান খানের পদচ্যুতির পর  শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শাহবাজ শরিফকে এক টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ভাবা হতো পাকিস্তানের সদ্য সাবেক হওয়া ইমরান খানের খুবই ঘনিষ্ঠ। অথচ শাহবাজ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এরদোয়ানের ফোনে এটাই স্পষ্ট হয় যে ব্যক্তি বিশেষ নয়, পাকিস্তানের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে আগ্রহী এরদোয়ান।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজ দলের প্রচার মাধ্যম থেকে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, শাহবাজের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খুশি এরদোয়ান। শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এরদোয়ানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।

২০১৮ সালেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এরদোয়ানই ইমরান খানকে সে সময় ফোন করে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ত্থেকেও শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। চীনের সঙ্গে শাহবাজের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগে ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে বিএপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) আসনসংখ্যা ৫ শতাংশের কম, তবে অনাস্থা ভোটে জোটের এই সঙ্গীদের ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সাড়ে তিন বছরের অধ্যায় শেষ হয়ে যায়।

শুধু জোটের মিত্র নয়, খোদ পিটিআইয়ের বিদ্রোহী কিছু আইন প্রণেতার সমর্থন পাওয়ার কথাও জানায় বিরোধী দলগুলো।

স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ৩৪২ আইন প্রণেতার মধ্যে অন্তত ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল বিরোধীদের।

১৭৪ ভোট পেয়ে তাদের অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। এ বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে সংবিধানসম্মতভাবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অভ্যুত্থান (ক্যু) হিসবে দেখছে সংবাদমাধ্যম।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরানের ভোটে হারার খবর আসার পরই পক্ষে-বিপক্ষে মত দিতে থাকেন অনেকেই। কেউ বলছেন, নতুন ভোরের সূচনা হলো। আবার কেউ বলছেন, পাকিস্তানের জন্য এই দিনটি (সোমবার) বিষাদময় একটি দিন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads