• রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪২৯

এশিয়া

অধিকার-ভিত্তিক নাগরিক সংগঠনগুলো

আইএমএফ ঋণের ভর্তুকি বাদ নয়, যৌক্তিকিকরণ প্রয়োজন

  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০২৪

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ওপর আরোপিত কঠোর শর্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে অধিকার-ভিত্তিক বেশ কিছু নাগরিক সংগঠন। সংগঠনের নেতারা আইএমএফের পরামর্শের বিরুদ্ধে জনমত গঠনেরও আহ্বান জানান। আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইক্যুইটিবিডি) এর সমন্বয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে অধিকারভিত্তিক নাগরিক গঠনগুলো এ আহ্বার জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল এবং সরকারের উন্নয়নের জন্য আইএমএফ ঋণের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু কভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ ইত্যাদির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রিজার্ভ ২০২১ সালে ৪১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে ১৯.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যা সরকারকে গত বছর আইএমএফ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের চুক্তি করতে প্ররোচিত করে। আইএমএফ এখন বাংলাদেশে তার তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য আলোচনায় রয়েছে, তবে তাদের কঠোর শর্ত জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

তাদের একটি শর্ত হলো, ডলার খরচ বাঁচাতে বিদ্যুৎ, ফার্নেস অয়েল এবং গ্যাসের উপর ভর্তুকি বন্ধের দাবি। কিন্তু প্রশ্ন হোল, আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার বা মানি লন্ডারিং- এর মতো জটিল সমস্যাগুলি নিয়ে কোন কথা বলছে না বা রাজস্ব বাড়ানোর উপায়গুলি নিয়েও কোন সুপারিশ করছে না। এর পরিবর্তে, তারা সাধারণ নাগরিকদের উপর ভারী বোঝা চাপিয়ে পরোক্ষ কর বাড়ানোর সুপারিশ করছে। বক্তারা জনসাধারণের উপর শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা চাপানোর পরিবর্তে ভর্তুকির যৌক্তিককরণ এবং অর্থ পাচারকারীদের দমনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, যে বিদ্যুৎ, তেল এবং গ্যাসের জন্য ভর্তুকি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলোর দ্বারা দরিদ্র মানুষ উপকৃত হোয় এবং কৃষি সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তিনি ভর্তুকি কমানোর জন্য আইএমএফের শর্তের সমালোচনা করেন, এর পরিবর্তে সরকারকে টাকা পাচার রোধ করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। বদরুল আলম বলেন যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা বা দেউলিয়া হওয়া এবং অর্থ পাচার নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগের অভাব তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তিনি বলেন যে ভর্তুকি বন্ধ বা এই কঠোর শর্তগুলির পালন কৃষি উৎপাদনকে নিরুৎসাহিত করবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাবস্থাকে দুর্বল করে তুলবে।

ইক্যুইটিবিডির সচিবালয় সমন্বয়কারি মোস্তফা কামাল আকন্দ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম, ওয়াটার কিপারের ইকবাল ফারুক, এনডিএফ থেকে ইবনুল সাইদ রানা, সিএসআরএল থেকে জিয়াউল হক মুক্তা, কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওমর ফারুক এবং ফেরদৌস আরা রুমি সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ইক্যুইটিবিডির সাথে সংহতি প্রকাশ করে এসব বক্তব্য দেন। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন, সভাপতিত্ব করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads