• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
স্প্রেড সীমা মানে না বিদেশি ব্যাংকগুলো

২০১৩ সাল থেকে গত ৬ বছরে কোনো সময়ই বিদেশি ব্যাংকগুলোর সার্বিক স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে আসেনি

সংরক্ষিত ছবি

ব্যাংক

স্প্রেড সীমা মানে না বিদেশি ব্যাংকগুলো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের পার্থক্য (স্প্রেড) বেশি রয়েছে বিদেশি ব্যাংকগুলোয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, স্প্রেড সীমা ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে রাখতে হবে। কিন্তু ৬ বছরে রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোনো বছরই স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে আসেনি বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে বার বার তাগিদ ও নির্দেশনা দিলেও তাতে সাড়া দেয় না এসব ব্যাংক। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা কেবল কাগুজে নির্দেশনা হিসেবে থাকছে বছরের পর বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো বলছে, বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড সীমার লাগাম টানতে তাদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে একাধিকবার। তারা বৈঠককালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আশ্বস্ত করে যান। তবে বছর শেষে তার কোনো প্রতিফলন আসে না সূচকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে দেখা গেছে, মার্চ মাসে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এখানে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এই সময় স্প্রেড হার ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর স্প্রেড ছিল ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশীয় মালিকানার ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র বিদেশি ব্যাংকগুলোর।

এ সময় বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার থেকে এক দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মার্চে স্প্রেডের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাঝেমধ্যেই কেবল নয় পুরো ব্যাংক খাতে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া স্টেট ব্যাংক ও ইন্ডিয়ার স্প্রেড ৫ দশমিক ৮৫, সিটি ব্যাংক এনএর স্প্রেড ৫ দশমিক ৯৯, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের স্প্রেড ৫ দশমিক ৬৫, উরি ব্যাংকের ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর এইচএসবিসির স্প্রেড ছিল ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, ২০১৩ সাল থেকে গত ৬ বছরে কোনো সময়ই বিদেশি ব্যাংকগুলোর সার্বিক স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে আসেনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বারবার তাগাদা দিয়েও আমরা বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড কমাতে পারিনি এটা ঠিক নয়। একসময় তাদের স্প্রেড হার বেশি ছিল। তাগিদ কিংবা দিক নির্দেশনায় তারা স্প্রেড আগের তুলনায় নামিয়ে এনেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads