• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কোন পথে এইচএসবিসি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া?

ব্যাংক পরিচালনায় সঠিকভাবে নিয়ম পরিপালন না করায় বড় ধরনের জরিমানা গুনতে হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বড় ব্যাংক এইচএসবিসিকে

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

কোন পথে এইচএসবিসি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া?

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

শাখা কমাচ্ছে এইচএসবিসি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এইচএসবিসি দুই বছর আগেই তাদের কার্যক্রম সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছিল। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ব্যবসায়িক দুর্বলতা থেকে শাখা কমিয়েছ। বর্তমানে ব্যাংক দুটির শাখার সংখ্যা সাতটি করে। একসময় এইচএসবিসির ঢাকায় শাখার সংখ্যা ছিল ১৪টি। দুই বছরে ব্যাংকটি সাতটি শাখা বন্ধ করেছে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া গত এক বছরে দুটি শাখা বন্ধ করেছে। 

এইচএসবিসির শাখাগুলো বর্তমানে ঢাকায় ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা, মতিঝিল, উত্তরা এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও জিইসি মোড়ে। সিলেটে শাখা থাকলেও তা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকটি। একইসঙ্গে করপোরেট গ্রাহক ও জেনারেল হিসাবও কাটছাঁট করছে ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্যাংকটির ১৩টি এটিএম বুথ গ্রাহক সেবা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বর্তমানে শাখা রয়েছে রাজধানীর গুলশানে দুটি, মতিঝিলে দুটি, চট্টগ্রামে দুটি এবং খুলনাতে একটি। তবে গ্রাহক পর্যায়ে লেনদেনের সুযোগ রয়েছে মূলত চারটি শাখাতে। এই ব্যাংকের এটিএম বুথের সংখ্যা বর্তমানে চারটি।

ব্যাংক পরিচালনায় সঠিকভাবে নিয়ম পরিপালন না করায় বড় ধরনের জরিমানা গুনতে হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বড় ব্যাংক এইচএসবিসিকে। এতে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবসায় লোকসানের কারণে এইচএসবিসি সঙ্কোচনের পথ বেছে নেয়। একসময় বিশ্বের ৮৭টি দেশে এইচএসবিসির শাখা থাকলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ৭১টি দেশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই উদ্যোগের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪টি শাখার মধ্যে সাতটি বন্ধ করা হয়েছে।

ব্যাংকটির কমিউনিকেশন্স প্রধান তালুকদার নোমান আনোয়ার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমরা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দুই বছর আগেই আমরা আমাদের নতুন ব্যবসায়িক নীতি ঘোষণা করেছিলাম। সেগুলো কেবল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর প্রথম শাখা খোলে এইচএসবিসি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads