• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

প্রতীকী ছবি

ব্যাংক

বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০২২

করোনার দ্বিতীয় বছরেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ব্যাপক হারে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে সবগুলো ব্যাংকের চূড়ান্ত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে যেসব ব্যাংকের হিসাব পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে সিংহভাগের মুনাফাই বাড়তে দেখা গেছে।

মোট ২৩টি ব্যাংকের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের মুনাফার তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে ২০টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, বাকি তিনটির মধ্যে একটি তালিকাভুক্ত হতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে টাকা তুলছে।

এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে কেবল একটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে। বাকি সবগুলোর আয় বেশি হয়েছে।

এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটি ব্যাংকের আয় বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের আয়ও বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো করেছে মার্কেন্টাইল; গত বছরের তুলনায় মুনাফা তিন-চতুর্থাংশ বাড়াতে পেরেছে তারা। তবে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে বরাবরের মতোই ইসলামী ব্যাংক। তবে মুনাফার প্রবৃদ্ধি খুব একটা বেশি নয়।

২০২০ সালে করোনার প্রথম বছরে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার বড় ধাক্কা লাগলেও চূড়ান্ত মুনাফা বেড়ে গিয়েছিল।

গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিক, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর প্রকাশিত হিসাবে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোর সিংহভাগই দারুণ করেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।

অবশ্য পরিচালন মুনাফা কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে, সেটিই কোনো ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন ও কর-পরবর্তী এ মুনাফাই হলো একটি ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা।

ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে জোয়ার।

নভেম্বর পর্যন্ত ২০২১ সালে বাংলাদেশের আমদানি ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলারে। ডিসেম্বরের হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নভেম্বরের প্রবণতার ভিত্তিতে বছরের শেষ মাসে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কেবল নভেম্বরেই হয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৪ বা ৪০৪ কোটি ডলার। এই প্রবণতার ভিত্তিতে গোটা বছরে রপ্তানি ২৫ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমদানি ও রপ্তানি-এই দুই ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কমিশন পায়।

আরেকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকার বলেন, করোনার সময় ব্যাংকগুলো ভয়ে খরচ অনেক কমিয়েছে। ডিপোজিটের বিপরীতে সুদহারও কমেছে। অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি বাড়ায় এলসি বাবদ আয় হয়েছে অনেক বেশি। এ কারণে ব্যাংকগুলো এবার ভালো মুনাফা করেছে।

পাশাপাশি করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে দুই অঙ্কের ঘর।

এর পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকগুলোকে দেওয়া ছাড় মুনাফা স্ফীত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

এই ছাড়ের বিষয়ে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, করোনার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসহায়তায় বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে। ফলে মুনাফায় সেটার প্রভাব পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে পরিশোধ না করলেও কোনো ঋণই খেলাপি করা হয়নি। ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ পরিশোধে খেলাপি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব ছাড়ের ফলে অধিকাংশ ব্যাংকই প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করেনি।

এবার বছরের শেষ ভাগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বাড়াতে সহায়তা করেছে। ব্যাংকের সুদকে আয় হিসেবে দেখাতে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো কোনো একক গ্রাহকের কাছ থেকে ২০২১ সালে যে সুদ আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে, তার ২৫ শতাংশ যদি আদায় করতে পারে, তাহলে ওই গ্রাহকের কাছ থেকে সুদ বাবদ পাওয়া অর্থের পুরোটাকে আয় হিসেবে দেখাতে পারবে।

নতুন নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফা করা সহজ হয়েছে। কারণ সাধারণত পুরো টাকা আদায় না হলে তা খেলাপি হয়ে যায়। সুদও আয় খাতে নেওয়া যায় না।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের জন্য বড় বিষয় নয় বলে মনে করেন এবিবির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এখন সময় হলো সম্পদের গুণগত মান ঠিক রেখে মূলধনের ভিত শক্তিশালী রাখা। ব্যাংক কখনই স্বল্পমেয়াদি কোনো ব্যবসা নয়। গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রেখে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকাই যে কোনো ব্যাংকের বড় সফলতা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবার মুনাফা করেছে ৭২২ কোটি টাকা। গত বছর পরিচালন মুনাফা ছিল ৪১১ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৩১১ কোটি বা ৭৫ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক গত বছর পরিচালন মুনাফা করেছিল ৭০০ কোটি টাকা। ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে এবার মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

সিটি ব্যাংকের মুনাফায়ও ব্যাপক উত্থান হয়েছে। এ কোম্পানিটি এবার আয় করেছে ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা। গত বছর মুনাফা ছিল ৭০৪ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা বা ৫৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭১৭ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৪৮১ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ২৩৬ কোটি টাকা বা ৪৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ৮৮১ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ৬০০ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৮১ কোটি টাকা বা ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাংক এশিয়ার আয়েও। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৭১০ কোটি টাকা। সেটি এবার বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৯২ কোটি টাকা বা ৪১.১২ শতাংশ।

২০২০ সালে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৭৭০ কোটি টাকা। সেটি এবার ছাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৮০ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এনআরবিসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৩২৩ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ১২৭ কোটি টাকা বা ৩৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক মুনাফা করেছে ২১০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ১৫২ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা বা ৩৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭১৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে মুনাফা ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে ১৪৪ কোটি টাকা বা ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।

২০২১ সালে পূবালী ব্যাংক মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৯৩৫ কোটি টাকা। মুনাফা ২০৫ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ২১ দশমিক ৯২ ভাগ।

ইস্টার্ন ব্যাংক বিদায়ী বছরে মুনাফা করেছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৮৭০ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে ১৮০ কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৮ ভাগ।

যমুনা ব্যাংকের মুনাফা করেছে ৭৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। মুনাফা ১১৩ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৩ ভাগ।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৫০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। বছর শেষে মুনাফা ৭০ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ ভাগ।

এসআইবিএল এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ৫০৩ কোটি টাকা। গত বছর পরিচালন মুনাফা ছিল ৪৬০ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৪৩ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

এক্সিম ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৮০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৭৪১ কোটি টাকা। মুনাফা ৩৯ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৬ ভাগ।

বরাবরের মতো এবারো দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি সদ্য বিদায়ী বছরে ২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে, যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। মুনাফা ৮০ কোটি টাকা বেড়েছে। তবে শতকরা হারে মুনাফা বৃদ্ধির হার খুব একটা আকর্ষণীয় নয়, ৩ দশমিক ৪০ ভাগ।

সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকও মুনাফা বাড়াতে পেরেছে। ব্যাংকটি এবার পরিচালন মুনাফা করেছে ৯৮০ কোটি টাকা। আগের বছর এই মুনাফা ছিল ৯৫০ কোটি টাকা। বেড়েছে ৩০ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংকের হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে একমাত্র ডাচ্-বাংলার আয় কমার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাংকটি এবার মুনাফা করেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আগের বছর মুনাফা ছিল ১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে ৯০ কোটি বা ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংক এবার মুনাফা করেছে ৪৩৩ কোটি টাকা। গত বছর এই মুনাফা ছিল ৩১৫ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ১১৮ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪৬ ভাগ।

পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা মেঘনা ব্যাংক মুনাফা করেছে ১০৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৭৩ কোটি টাকা। মুনাফা ৩২ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হারে মুনাফা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৮৩ ভাগ।

ইউনিয়ন ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৭৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ৩১৭ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা বা ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত হতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে টাকা ‍তুলছে।

তালিকাভুক্ত নয়, এমন মিডল্যান্ড ব্যাংক মুনাফা করেছে ১৬২ কোটি টাকা, ২০২০ সালে যা ছিল ১২৫ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে পরিচালন মুনাফা ৩৭ কোটি টাকা বা ২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে কেবল সোনালী ব্যাংকের হিসাব পাওয়া গেছে। এই ব্যাংকটির আয়ও বেড়েছে। গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি ২ হাজার ২০৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা আয় করেছে, যা টাকার অঙ্কে ইসলামী ব্যাংকের পরেই দ্বিতীয়। আগের বছর আয় ছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads