• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
দেশের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হবে অগ্রণী ব্যাংক

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাক্ষাৎকার

দেশের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হবে অগ্রণী ব্যাংক

  • রতন বালো
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০২২

মাত্র ৫ বছরে ২ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা বেশি আমাতন সংগ্রহ করেছে অগ্রণী ব্যাংকে। আর ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪৫ বছরে আমানত বেড়েছে ৪৯ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। ফলে মোট আমানত এখন ৫১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। দেখা গেছে, ৪৫ বছরের কাজ মাত্র ৫ বছরে করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্ভাবক অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম। তাই আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৪৫ বছরে ব্যাংকটির ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে ২৬ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। অথচ ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৫ বছরে ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে ৩৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর ১ দশমিক ১২ শতাংশ। ৪৫ বছরের তুলনায় ৫ বছরে বিতরণ বেশি হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ৫৯ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অগ্রযাত্রার যোগ্য সারথী হিসেবে ব্যাংকটিকে সম্মুখ সারিতে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দেশের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হবে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে ১০৪ শতাংশ, ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে ১২৫ শতাংশ, বিনিয়োগ বেড়েছে ৭২ শতাংশ, মোট সম্পদ বেড়েছে ৯২ শতাংশ, গ্রামীণ ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৮ শতাংশ, শিল্প ঋণ বেড়েছে ১০৬ শতাংশ এবং এসএমই খাতে অগ্রিম বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। পাশাপাশি লোকসানি শাখা কমেছে ৭৭ শতাংশ, শ্রেণিকৃত ঋণের হার ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে। অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রেই ৪৫ বছরে যা অগ্রগতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে গত ৫ বছরে। এমন তথ্য উপস্থাপন করেছেন ব্যাংকটির বর্তমান এমডি ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম।

সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দেশ সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হবে অগ্রণী ব্যাংক। তিনি প্রত্যাশা করছেন অগ্রণী ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণ, আমানত, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, গ্রিন ব্যাংকিং, অনাদায়ি ঋণ আদায়, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকে শীর্ষে উঠে এসেছে। ব্যাংকটিকে মধ্যমেয়াদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ভিত গড়ে দিতে নিরবচ্ছিন্ন গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম।

গত ৫ বছরে অনেক ক্ষেত্রেই বেশি কাজ হয়েছে। যে কারণে সাফল্যও ধরা দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। করোনা মহামারিসহ নানামুখী প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সামপ্রতিক সময়ে আর্থিক খাতের আইকনিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৬ সালের আগস্টে দায়িত্ব পাওয়ার পর ৫ বছর ৪ মাসের পথ-পরিক্রমায় তিনি প্রয়োজনীয় সমর্থন ও দিকনির্দেশনা পেয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. জায়েদ বখতের নেতৃত্বাধীন অভিজ্ঞ পর্ষদের।

এ বিষয়ে মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্বগুলো অর্পণ করেছেন সেগুলো যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে ব্যাংকে গুড গভর্নেন্স বাস্তবায়নে বেশ উন্নতি করেছি। সৌভাগ্যবান যে আমি অগ্রণী ব্যাংকে একটি ভালো পর্ষদ পেয়েছি যারা প্রতিনিয়ত ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথোপযুক্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে অনেক সমস্যাই আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।

শুধু আমানত বাড়িয়ে ব্যাংকের ভিত মজবুত করা নয়, বিপুল ঋণ বিতরণের মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়িয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৪৫ বছরে ব্যাংকটির ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে ২৬ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। অথচ ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৫ বছরে ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে ৩৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপির ১ দশমিক ১২ শতাংশ। ৪৫ বছরের তুলনায় ৫ বছরে বিতরণ বেশি হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ৫৯ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সূচকে অসামান্য অগ্রগতির কারণে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড গত ৫ বছরে অনেকগুলো সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে অ্যারাবিয়ান ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড, সিটি ব্যাংক এনএ পারফরম্যান্স এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ২০১৯ সালে আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য।

প্রথমবারের মতো অগ্রণী ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০২০ এর মূল্যায়নে প্রথম স্থান অর্জন করে। আর বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক বিগত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ‘১ম’ এবং দেশের সব সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। ২০২০ সালে দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবুজ অর্থায়নে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সিএমএসএমই ঋণ বিতরণে প্রথম হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংককে সম্মাননা দিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে প্রথম, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রথম, রেমিট্যান্স আহরণে ধারাবাহিকভাবে প্রথম হয়ে আসছে। অগ্রণী ব্যাংক পরপর ৪ বছর আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস-উল ইসলামকে ‘বেস্ট ব্যাংকার’ হিসেবে ‘৮ম ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’- তে ভূষিত করেছে ড. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads