• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দিচ্ছে ফেলা দেওয়া সিগারেট

ফাইল ছবি

জীব বিজ্ঞান

গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দিচ্ছে ফেলা দেওয়া সিগারেট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৯

গবেষণা দেখা গেছে, ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাট গাছের বৃদ্ধিতে বাধার কারণ হতে পারে। অ্যাংগলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি নেতৃত্বাধীন একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাটিতে সিগারেটের বাটের উপস্থিতির কারণে সে মাটিতে বীজ থেকে অঙ্কুর হওয়ার সম্ভাবনা কমেছে শতকরা ২৭ থেকে ২৮ ভাগ। ঘাসের ক্ষেত্রে অঙ্কুরোদগমের সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে ১০ শতাংশ এবং দৈর্ঘ্যের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ।

গবেষণায় বলা হয়, প্রতি বছর অন্তত পক্ষে ৪.৫ ট্রিলিয়ন সিগারেট বাট পুরো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে, যা গাছের জন্যে সবচেয়ে বড় আকারের প্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ সিগারেটের গোঁড়া বা বাটে থাকে একটি সেলুলোজ এসিসেট ফাইবারের তৈরি ফিল্টার, যা এক ধরনের বায়োপ্লাস্টিক।

একইসাথে গবেষকরা দেখেছেন যে, অব্যবহৃত সিগারেটের ফিল্টারও একইভাবে পরিত্যক্ত ফিল্টারের মতোই গাছের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। তামাকের বিষক্রিয়া ঘটুক আর না ঘটুক, ফিল্টারটিই গাছের জন্যে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ইকোটক্সিকোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সেফটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, গবেষকরা ক্যামব্রিজ শহরের আশেপাশে নমুনা সংগ্রহ করে দেখেছেন সেখানে প্রতি বর্গমিটারে অন্তত ১২৮টি সিগারেটের গোঁড়া পাওয়া গেছে।

প্রধান গবেষক ড্যানিয়েল গ্রিন বলেন, যে সমাজে সিগারেটের অবশিষ্টাংশ যত্রতত্র ছুড়ে ফেলার সংস্কৃতি রয়েছে সেসব স্থানে পরিবেশের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সিনিয়র জীববিজ্ঞানী ড. গ্রিন বলেন, ‘আমাদের গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল গাছের ওপর সিগারেটে গোঁড়ার কি প্রভাব সেটি দেখা।’

ঘাস এবং গুল্মের কাণ্ডের ওজন অর্ধেক হ্রাস করে দেয়।’

তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সেইসব গাছ থেকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গবাদি পশুরা।

গ্রিন বলেন, ‘এইসব গাছ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে, এমনকি শহরের উদ্যানগুলোতেও এবং এর মধ্যকার এক জাতের গাছ পরাগায়ন ও নাইট্রোজেন বিশ্লেষণ করে পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

সহ-গবেষক ড. বাস বুটস বলেন, ‘যদিও এটি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার দরকার, তারপরও আমরা মনে করি যে সিগারেটের ফিল্টারের রাসায়নিক গঠন গাছের ক্ষতির কারণ।’

‘এগুলোর বেশিরভাগই তৈরি হয় সেলুলোজ এসিসেট ফাইবার দিয়ে, সেটির সাথে আরও কিছু রাসায়নিক যোগ করা হয় যা প্লাস্টিকটিকে আরও নমনীয় করে তোলে, যাকে বলা হয় প্লাস্টিসিজার। এগুলোই গাছের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে থাকে।’

দূষণের হাত থেকে পরিবেশ ও গাছ বাঁচাতে তাই ধূমপায়ীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads