• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বলিউড

জন্মদিনে হৃতিকের চমক

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২২

‘কৃষ’খ্যাত অভিনেতা হৃতিক রোশন। বলিপাড়ার প্রিয় এবং প্রশংসিত অভিনেতাদের একজন। অভিনেতা শুধু তার অভিনয় দক্ষতার জন্য নয়, নাচ এবং গানের দক্ষতার মাধ্যমেও অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেছেন। মাত্র একদিন পর ১০ জানুয়ারি এই তারকা ৪৮ বছর বয়সে পা রাখবেন। জন্মদিনে ভক্তদের জন্য বিশাল চমক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও এখনো কেউ জানেন না সেই চমকটি কী হতে যাচ্ছে!

তবে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্র চমক সম্পর্কে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছে। সমাজের উন্নতির জন্য হৃতিক প্রচুর কাজ করেন। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কখনো জনসম্মুখে কথা বলেন না। হয়তো বলতে পছন্দ করেন না। বিষয়গুলো তিনি আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। এ বছর তিনি এমন কিছু করবেন, যা মানুষকে কোভিড পরিস্থিতিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ভক্তদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন অভিনেতা। জন্মদিনে এই চমকটিই দিতে চলেছেন হূতিক, ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে সূত্রটি অন্য ইঙ্গিতও দিয়েছে। তারা বলছে, জন্মদিনের বড় ঘোষণা শুধু সমাজসেবামূলক কাজকর্ম নিয়ে নয়। সিনেমা নিয়ে কিছু একটা ঘোষণা করতে চলেছেন হূতিক।

আশির দশকেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ছোট্ট হৃতিকের। সে সময় বেশ কয়েকটি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। বাবার পরিচালিত চারটি সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। এরপর ২০০০ সালে রুপালি পর্দায় আবির্ভূত হন নায়ক হিসেবে। বাবা রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয় করেন ঋত্বিক।

অভিষেক সিনেমায় হৃতিকের নায়িকা ছিলেন নবাগতা আমিশা প্যাটেল। এটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য অর্জন করে। অভিষেক সিনেমাতেই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারসহ ঋত্বিক জিতে নেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। ওই বছরই টেরোরিজম ড্রামা ‘ফিজা’ এবং ২০০১ সালে এনসেম্বল মেলোড্রামা ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমা দুটি তাকে বিশেষ খ্যাতি অর্জনে সাহায্য করে। কিন্তু পরের দুই বছরে তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০০৩ সালে বাবা রাকেশ রোশন পরিচালিত কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র ‘কই মিল গায়া’ দিয়ে আবারো তিনি সফলতার দেখা পান। জিতে নেন ফিল্ম ফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। পরবর্তীকালে এই সিনেমার তিনটি সিক্যুয়েল ‘কৃষ’, ‘কৃষ টু’ ও ‘কৃষ থ্রি’ নির্মাণ করেন নির্মাতা রাকেশ রোশন। সবকটিতেই নায়ক ঋত্বিক রোশন। এরপরও তিনি ‘ধুম টু’, ‘গুজারিশ’, ‘জোধা আকবর’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘অগ্নিপথ’ এবং ‘ব্যাং ব্যাং’-এর মতো ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করেন।

মঞ্চেও অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন। ২০১১ সালে ‘জাস্ট ড্যান্স’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রথম টেলিভিশনে উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় টেলিভিশনের সর্বাধিক পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকা। অভিনয়ের পাশাপাশি ঋত্বিক একাধিক দাতব্য কাজের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। সেই সঙ্গে একাধিক ব্র্যান্ড ও উৎপাদিত সামগ্রীর হয়ে বিজ্ঞাপন করেছেন এবং নিজস্ব ক্লোদিং লাইনও সর্বসমক্ষে এনেছেন।

অভিনয় ছাড়াও দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তিনি সারা ভারতজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। যার ঝুলিতে আছে বেশ কয়েকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ আরো অনেক সম্মাননা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads