• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২২

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকেও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো অনশন চলছে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন ও অন্যান্য আন্দোলন চালিয়ে যাবে। শনিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায়, তারা তাদের দাবিতে অনড়। তবে শিক্ষার্থীদের যেন কোন ক্ষতি না হয়, সে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রীকে আমাদের আন্দোলনের শুরু থেকে যা যা হয়েছে সব জানিয়েছি। তিনি আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ দুপুরে আবারও আলোচনায় বসবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।

এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার রাত থেকে 'গণ অনশন'-এর নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। এসময়, শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যসবাইকে সশরীরে ক্যাম্পাসে না এসে, যার যার অবস্থানে থেকে আন্দোলনে সংহতি জানানোর আহ্বান জানান তারা।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের বাসায় শাবিপ্রবির একটি শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অনশন কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
এদিকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনশনে বসে অসুস্থ হওয়া শাবিপ্রবির আরও তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আমরণ অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিনে গতকাল শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন অবশ্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে পরে অনশনস্থলে ফিরে যান।

সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনশনে বসে তীব্র শীত আর অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই হলের কয়েক’শ ছাত্রী। সেই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাফরিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। নতুন দাবি যুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৬ই জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত কয়েক’শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের পদত্যাগের নতুন এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads