• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ক্যাম্পাস

দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ মার্চ ২০২২

দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।

আজ রোববার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন, দ্রব্য মূল্য কমিয়ে দে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দে', 'দ্রব্য মূল্য বেশি কেন? অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জবাব দাও', 'লুটেরা সিন্ডিকেট নিপাত যাক, জনগন মুক্তিপাক', 'দশ টাকা সের চাল দে, নইলে গদি ছেড়ে দে', 'চাল, ডাল,তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য কমিয়ে দে, জনসাধারণকে স্বস্তি দে',।

আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাশেদ আলী, সরদার জহুরুল , মেহেদি হাসান, শফিকুল ইসলাম, বুলবুল রহমান, আহসান হাবিব, মাহমুদুল মিঠু, জহির শাওন, সম্রাট আব্দুল লতিফ, মারুফ হোসেন, এম এ তাহের সহ আহবায়ক সদস্যসহ বিভিন্ন হলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন।

সদস্য সচিব সামসুদ্দিন চৌধুরী সানিনের সঞ্চলনায় রাবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, 'অবৈধ সরকারের দুর্নীতির কারনে আজ দ্রব্যমূল্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবিত্ত গরীব মানুষের ঘরে ঘরে চাপা কান্না, তাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তারা সংসার চালাবে, না তাদের সন্তানের লেখাপড়া খরচ চালাবে। অনেক ছাত্র অভাবের তাড়নায় পড়াশুনা বাদ দিয়ে কৃষি কাজ- দিন মুজুর কাজ করছে। আমরা মনে করি এই ব্যর্থতার জন্য এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক এস এম মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, 'খাদ্য হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিম্নবিত্ত - মধ্যবিত্তের কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এই খাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে তথাকথিত বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার,কতিপয় ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষায় এদেশের আপামর জনতাকে শোষণ করছে।

তিনি আরো বলন, সম্প্রতি রাজশাহীতে, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ০৫ দিন ব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়েছে যেটা এই ক্ষুধা দারিদ্রে জর্জরিত সময়ে বিলাসিতা। আমি বাচলে আমার সংস্কৃতি বাচবে। সুতরাং আগে আমার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে সরকারের ভূমিকা হবে জনবান্ধব,কিন্তু তাদের আমোদ ফূর্তির ব্যয় যদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে করতে হয় তাহলে সেটা কাম্য নয়'।

ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক এম এ তাহের বলেন, 'বর্তমান সরকারের আমলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য যে হারে বেড়েছে তা আসলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, সাধারণ মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তাদের এখন খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটাই এক চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তরা বেশি হিমসিম খাচ্ছে। এই সরকার আসলে সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তাদের দুঃখ কষ্ট বুঝে না। অবিলম্বে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জোর দাবী জানাই।'

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads